কলকাতা: আজ পয়লা বৈশাখ। ১৪২৮-কে বিদায় জানিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারে নতুন বছর ১৪২৯। নতুন বছরে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটারে লেখেন, “শুভ নববর্ষ, ১৪২৯। নববর্ষে শুভ আনন্দে জাগো। সকলকে জানাই অনেক অনেক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন, আগামী দিনগুলি খুব আনন্দে কাটুক।''



বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা রাজ্যপালের। ট্যুইটে জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, “পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা। নতুন বছর আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। বাংলাকে ভয়শূন্য চিত্ত ও উচ্চ শির করে তোলার জন্য গুরুদেবের স্বপ্ন সফল হোক। সর্বত্র তা ফলপ্রসূ হোক।‘’


 





নতুন জামা, গঙ্গাস্নান, দোকানে দোকানে হালখাতা৷ শুভেচ্ছা-মিষ্টিমুখ-গান-আড্ডা। করোনাকালের উদ্বেগ কাটিয়ে নববর্ষের আবাহনে মেতেছে গোটা বাংলা৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নতুন বছরের আনন্দ৷ এদিন বাংলায় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, "পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা। বিশেষ এই অনুষ্ঠান বাঙালির সংস্কৃতিকেই প্রকাশ করে। আমি আশা করি আগামী বছর আনন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। আমাদের সব ইচ্ছা পূরণ হোক। শুভ নববর্ষ।''





 


এদিকে পয়লা বৈশাখে হালখাতা, মিষ্টিমুখে ব্যস্ত রাজ্যবাসী৷ সারা বছরের জন্য মঙ্গল কামনায় পুণ্যার্থীদের ঢল কালীঘাটে৷ রাত থাকতেই পুজোর ডালি নিয়ে হাজির  ভোর থেকে ভিড় উপচে পড়ছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে৷ পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পুণ্যার্থীদের। ব্যবসায়ীরাও হাজির হালখাতা নিয়ে৷ মহিলাদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তত্পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে ২০ জনের উইনার্স বাহিনী। বিশেষ পোশাকে নজরদারি চালাচ্ছেন প্রশিক্ষিত মহিলা পুলিশ কর্মীরা।


আরও পড়ুন: Poila Baisakh: ঐতিহ্য এক, আবেগও- তবু দুই পাড়ে দুটি আলাদা দিন