কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই করুণাময়ীতে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে। আন্দোলনকারীদের দ্রুত এলাকা ছাড়তে মাইকে হুঁশিয়ারি। করুণাময়ীতে তিনদিন পেরিয়ে চারদিনে পা অনশন আন্দোলনে ২০১৪- টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশের হুঁশিয়ারির পরেও আন্দোলন তুলে নিতে অস্বীকার চাকরিপ্রার্থীদের। ধর্না না তুললে আইনানুগ ব্যবস্থা, আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি পুলিশের।


প্রসঙ্গত, সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এলাকায় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের চার দিনে পা দিয়েছে। চারদিনের মতো ধর্নার পাশাপাশি অনশন পেরিয়ে গিয়েছে তিনদিন। যদিও এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। 


বিক্ষোভ '১৭-র টেট উত্তীর্ণদেরও









যা নিয়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ‘বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে',। তাঁদের সমস্যা পুরনো, আগে সেটা সমাধান হোক দাবি ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁরা প্রশিক্ষণের পর টেট উত্তীর্ণ, ২০১৪-র ক্ষেত্রে তো ছাড় ছিল, দাবি ‍২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের।


এদিকে,  করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রস্তাব দেন 'সরকার চাইলে মধ্যস্থতায় রাজি'। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা'। চাকরিপ্রার্থীরা ধর্না-অবস্থান-অনশন শুরু করার পর থেকেই একাধিক বিরোধী শিবিরের নেতা সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। পাল্টা গোটা বিষয়টি কোর্টের বিচারাধীন বলে মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল শিবির।


পুলিশকে পদক্ষেপে ক্ষমতা হাইকোর্টের


চাকরির জন্য চলতে থাকা ধর্না-অনশন-অবস্থানের মাঝেই চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল অবস্থান পুলিশ নিয়েছে বলেই কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয় সরকারের পক্ষে। যারপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের কাজকর্মে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতেই নির্দিষ্ট এলাকায় বহাল থাকা ১৪৪ ধারা কার্যকরে পুলিশকে ছাড় দেয় হাইকোর্ট।