ধর্মশালা: পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে জাতীয় দল হিসেবে উঠে আসার প্রাণপণ চেষ্টা। তার জন্য গোয়া, বাংলার পর গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশেও ঘাঁটি গাড়তে শুরু করেছে তারা। হিমাচল প্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Himachal Pradesh Election 2022) এ বার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও ঘোষণা করে দিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। মুখ্য়মন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আইনজীবী গীতানন্দ ঠাকুরকে দাঁড় করাল তারা।


গোড়াতে আশা জাগিয়েও হিমাচলে ব্যাকফুটে আপ


আগামী ১২ নভেম্বর একদফায় বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে। রাজ্য বিধানসভার ৬৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই প্রথম হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনে নাম লেখাতে চলেছে আপ। বুধবার ৫৪ জনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে তারা। ফতেপুর, নাগরোটা বাগবান, পানোটা সাহিব এবং লাহৌল স্পীতি আসন থেকে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তারা।


এর মধ্যে, বিজেপি ছেড়ে আসা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্র সিংহ রবিকে সুল্লাহ্ থেকে প্রার্থী করেছে আপ। মনীষা কুমারী, পূজা ঠাকুর, রজনী কৌশল, তিন মহিলা প্রার্থীর জিম্মায় রাখা হয়েছে যথাক্রমে নূরপুর, সুন্দরনগর এবং ভোরানি।


হিমাচলে ক্ষমতাসীন বিজেপি-ও বুধবার ৬২ আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে। বহু আসনে রদবদল ঘটিয়ে খবরে উঠে এসেছে তারা। দলের ১১ জন বিধায়ককে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রার্থিতালিকা থেকে। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে। একজনকে বাদ দিয়ে সব বর্তমান বিধায়ককেই টিকিট দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Gujarat Himachal Pradesh election 2022 : গুজরাত, হিমাচলে কবে বিধানসভা ভোট, জানা যাবে আজই


এ বছর ফেব্রুয়ারিতেই পঞ্জাবে ক্ষমতাদখল করেছে আপ। এ বার পড়শি রাজ্য হিমাচলকে নিজেদের দখলে আনতে সচেষ্ট আপ। তার জন্য গত বছর থেকেই বিশেষ ভাবে সক্রিয় কারা। মহিলাদের মাসে মাসে হাতখরচ জোগানো থেকে নানা প্রকল্পের ঘোষণা করেছে তারা। তবে যে উদ্যম নিয়ে সেখানে জনসংযোগ শুরু করেছিল আপ, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের কারণে, তাতে একটু হলেও প্রভাব পড়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এমন কোনও জনপ্রিয় মুখ তুলে ধরতে পারেনি তারা হিমাচলে। 


যদিও, হিমাচলে তাও আপ-কে এগিয়ে রাখার পক্ষপাতী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া-মার্কিস্ট আপ-এর সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। হিমাচলে একজন মাত্র বিধায়ক রয়েছে সিপিআই-এর। কিন্তু যে যে আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, সেখানে আপ-কে সমর্থনের কথা জানিয়েছে তারা। 


গুজরাতকে গুরুত্ব দিতে গিয়েই কাল হল!


যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গুজরাত নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত আপ নেতৃত্ব যে, গত একমাসের বেশি সময় হিমাচলে দলের শীর্ষস্থানীয় কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। হিমাচলে যে সত্যেন্দ্র জৈনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল, তাঁর গ্রেফতারির প্রভাবও পড়েছে। তাতে সব সম্ভাবনা নস্যাৎ করে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ভোট ভাগ হয়ে গেলে আশ্চর্য ঠেকবে না বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ ১৯৮৫ সাল থেকে হিমাচলে বিজেপি এবং কংগ্রেসের হাতেই পালা করে ক্ষমতা থেকেছে।