তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: 'চোর' (Car Theft) ধরতে রুদ্ধশ্বাস অভিযান (Chasing) বাঁকুড়া পুলিশের (Bankura Police)। গাড়ি চুরিতে অভিযুক্ত সন্দেহে তিন জনকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ধাওয়া করে গ্রেফতার করে রাধানগর ফাঁড়ির পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার গভীর রাতে রাধানগর গ্রামের আরোগ্যপল্লীর বাসিন্দা সুকান্ত হালদারের একটি মারুতি ওমনি ভ্যান চুরি হয়। তড়িঘড়ি গাড়ির মালিক রাধানগর ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন। দেরি না করে তদন্ত শুরু করে রাধানগর ফাঁড়ির পুলিশ। প্রকাশ্যে আসে গাড়ি চুরির মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজও। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চুরির কিনারা করে ফেলে রাধানগর ফাঁড়ির পুলিশ। সূত্র মারফত খবর, পুলিশ জানতে পারে চোরের দলটি গাড়িটি নিয়ে পাঁচাল জঙ্গলের দিকে যাচ্ছে। তখনই তাঁদের পিছনে ধাওয়া করতে শুরু করেন রাধানগর ফাঁড়ির ইন-চার্জ মনোরঞ্জন নাগ ও তাঁর দলবল। প্রায় দু' কিলোমিটার পর চোরের দল গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারে বলে পুলিশের দাবি। এর পর সেখান থেকে গাড়ি ফেলে তিন অভিযুক্ত প্রাণভয়ে জঙ্গলের দিকে ছুটতে থাকেন। একেবারে ফিল্মি কায়দায় পেছনে ছুটতে শুরু করেন রাধানগর ফাঁড়ি ইন-চার্জ। পিছনে আরও কিছু পুলিশকর্মী। দুই কিলোমিটার জঙ্গলের পথে অভিযুক্তদের পিছনে গাড়ি ছোটানোর পর আরও দুই কিলোমিটার কাদা ধান জমির ওপর দিয়ে ছুটে এক জনকে পাকড়াও করে রাধানগর ফাঁড়ির পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আরও দু'জনের সন্ধান পেয়ে তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া গাড়িটি। অভিযুক্তদের আজ আদালতে তোলা হয়েছে।
বাইক চুরি...
গত মে মাসে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে স্কুটি চুরির অভিযোগে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে জনতা। পরে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। জনতার অভিযোগ, ঘটনার দিন দুপুরে জগৎবল্লভপুর থানা এলাকারই একব্বপুরের বাবুল শাসমল নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্কুটি রেখে সামনে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, তাঁর স্কুটি উধাও। এর পর, সমস্ত এলাকা জুড়ে সিসিটিভি ফুটেজ চালিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। তাতে ধরা পড়ে, তিন ব্যক্তি মিলে স্কুটিটি নিয়ে চম্পট দিয়েছে। তার পর দিন, সেই স্কুটি নিয়েই ওই অঞ্চলের একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে এসেছিলেন তিন অভিযুক্তের এক জন। তাঁকে চিনতে পেরে হইচই শুরু করেন এলাকার মানুষ। দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে শুরু হয় গণপ্রহার। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে স্রেফ সন্দেহের বশে এমন গণপ্রহার কতটা আইনসঙ্গত? উঠেছিল প্রশ্ন। বাঁকুড়ার ঘটনায় অবশ্য সে অবকাশ নেই। বরং পুলিশ যে ভাবে ফিল্মি কায়দায় যে ভাবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে, তা নিয়েই আলোচনা চলছে লোকমুখে।
আরও পড়ুন:টাকার বিনিময়ে বিস্ফোরক আদান-প্রদানের সেফ প্যাসেজ তৈরি করে দেন ধৃত TMC নেতা, দাবি NIA-র