ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: মাত্র মাসখানেক পরেই পুজো। এখনও চাকরি নিয়ে অন্ধকারে বহু চাকরিপ্রার্থী। এদিনও তাদের আন্দোলনে সরগরম হল সল্টলেক চত্বর। ২০২২ সালের টেট (TET Protest) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল। গোড়াতেই তা আটকে দিল পুলিশ। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো থেকে বের হতেই তাঁদের আটক করে পুলিশ। (Recruitment Scam)
আন্দোলনের কথা ছিল। আগেভাগেই কড়া অবস্থান নিল পুলিশও। সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো থেকে বেরোতেই চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ। কাউকে কাউকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্য়ানে তোলে পুলিশ। টেনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। এভাবেই ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরুতেই আটকে দেয় পুলিশ। (police)
অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার পর্ষদ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। দুপুর ১টার সময় সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোতেই তাঁদের আটক করে প্রিজন ভ্য়ানে তোলে পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২২ সালে টেট নেওয়া হলেও এখনও ইন্টারভিউ হয়নি তাঁদের। এরই মধ্যে ফের টেটের দিন ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা সকলেই শিক্ষিত বেকার। নিজেদের যোগ্যতায় পাস করেছেন। কিন্তু, পর্ষদ নিয়োগ নিয়ে পদক্ষেপ করেনি। নতুন একটি টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে তাঁদের নিয়োগ কবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
চাকরিপ্রার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে সল্টলেট চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। করুণাময়ী ও সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রোতেও বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। পর্ষদ অফিসের সামনে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
যেদিন এই আন্দোলন হল, সেদিনই জলপাইগুড়িতে স্কুলের চাকরিতে যোগ দিলেন অনামিকা রায়। তৎকালীন মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা এবং ববিতার পর চাকরি পেলেন অনামিকা। নম্বরে কারচুপির অভিযোগে চাকরি যায় তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari)মেয়ে অঙ্কিতার। পরেশ-কন্যার জায়গায় চাকরি পান ববিতা সরকার। ভুল তথ্য দেওয়ায় চাকরি হারান ববিতাও। এরপরই মেধাতালিকায় নাম থাকা পরবর্তী দাবিদার হিসেবে মামলা করেন অনামিকা। সেই মামলায় জয়ের পরেও নিয়োগপত্র মিলছিল না। অবশেষে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরে স্কুলে যোগদানের যাবতীয় প্রক্রিয়া করে এসএসসি।
আরও পড়ুন: অবশেষে ক্লাসরুমে শিলিগুড়ির অনামিকা! আজ স্কুলে যোগদান