কলকাতা : ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত সিট-কে সহযোগিতায় আরও ১০ জন আইপিএস। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত সিটকে সহযোগিতা করবেন ১০ জন আইপিএস অফিসার। ২ জন করে অফিসার থাকবেন ৫টি জোনে। বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ সদস্যের সিট গঠিত হয় । তাতে ছিলেন, সৌমেন মিত্র, রণবীর কুমার, সুমন বালা সাহু।


গত ১৯ অগাস্ট ভাঙচুর, আগুন, মারধর, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করার জন্য SIT গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। 

আরও করুন : ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে CBI, হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার


গত ১৯ অগাস্ট  রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত নির্দেশ দেয়,  খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো, গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে CBI তদন্ত করবে এবং ভাঙচুর, আগুন, মারধর, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্তের জন্য ৩ IPS-কে নিয়ে SIT গঠনের নির্দেশ দিল আদালত।  ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জুলাই হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক CBI-কে। বিচারপর্ব যেন বাংলার বাইরে হয়।


অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের দিয়ে SIT গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটি। সেই মামলায় হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে নির্দেশ দেয় আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বলা হয়, ৬  সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।  এছাড়া ৩ IPS অফিসার, সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু ও রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠন  হবে। এরা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে। এই ৩ আইপিএস অফিসারকে অন্যান্য কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আদালতের অনুমতি ছাড়া, এই ৩ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও বিরূপ পদক্ষেপ করতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে এই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। তাদেরকেও ৬ সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।