সুনীত হালদার, আমতা: হাওড়া জেলার আমতায় (Amta) বিঘের পর বিঘের চাষের জমি থেকে জলের তলায় চলে গেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল। তাই চাষের জমি থেকে বন্যার জল কমাতে এবার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প (Powerful Pump বসাল জেলা সেচ দফতর। পাম্পের সাহায্যে জলকে সরাসরি শর্টকাট চ্যানেলে ফেলা হচ্ছে। ওই জল সরাসরি রূপনারায়ণ নদে মিশে যাচ্ছে। 


গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টি এবং ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার ফলে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এবং আমতার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। চাষের জমি, রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘর সবই জলের তলায় চলে যায়। দিন কয়েক ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোর ফলে দুই জায়গার বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। তবে ৬ দিন কেটে গেলেও আমতার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। আমতা দু'নম্বর ব্লকের ভাতোরা, ঘোড়াবেড়িয়া, চিতনান, ঝামটিয়া, ঝিকিরা, অমরাগুড়ি, থলিয়া এবং বিমলাকৃষ্ণবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বেশিরভাগ গ্রামে এখনও কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে আছে। গত দুদিন জেলা সেচ দফতর চাষের জমি থেকে দ্রুত জল নামানোর জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসিয়েছে। জমি থেকে জমা জল একাধিক পাম্পের সাহায্যে সরাসরি শর্টকাট চ্যানেলে ফেলে তা রূপনারায়ণ নদের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।


আমতার একজন চাষী দীপক দলুই। তাঁর তিন বিঘে জমিতে আমন ধানের পাশাপাশি ১০ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছিলেন। সবটাই তিনি মহাজনের থেকে সুদে টাকা ধার নিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এবারের বন্যায় মাঠের ফসল মাঠে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে পুজোর মুখে কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, এবার আমতায় ৭৬০০ হেক্টর ধান জমির মধ্যে ৫২৭৭ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। আবার ৫৪৫ হেক্টর সবজি চাষের জমির মধ্যে ৪০০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সময় বানভাসি চাষীদের শস্য বীমা থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন। দীপক দলুইয়ের মতো চাষীরা কার্যত সেই সরকারি ক্ষতিপূরণের দিকেই এখন তাকিয়ে আছেন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: দেওয়ালে মমতার সহাস্য ছবি, সামনের চেয়ার থেকে নির্দেশ দিতেন এতদিন, আজ ঘরে ঢুকে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত