হাওড়া: প্রথমবার রাজ্যে এসে, সকালে বেলুড় মঠ পরিদর্শনে যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu in Belur Math )। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor)। রাষ্ট্রপতিকে বেলুড় মঠে স্বাগত জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ, সহ সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসরানন্দ।


উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও অরূপ রায়, জেলাশাসক ও হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার। এরপর UCO ব্যাঙ্কের ৮০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে প্রধান অতিথি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপর কপ্টারে বেলা ১২টা নাগাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন রাষ্ট্রপতি। মধ্যাহ্নভোজের পর আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।  রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষ্যে সপ্তাহের প্রথম দু’দিন কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। 


দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। প্রথমদিনই তাঁকে নাগরিক সম্বর্ধনা (Felicitaion Program) জানানো হয়। গতকাল এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবন ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির হওয়ার পর প্রথম বার রাজ্যে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর এবারই 'জয় হিন্দ, জয় বাংলা' স্লোগান শোনা গেল তাঁর মুখে।  তাঁকে সংবর্ধনা দিতে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।


সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্জি জানান, 'আমি ওঁকে বলব, সংবিধান রক্ষা করুন। আমাদের দেশে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য়, তা রক্ষা করুন।' সোমবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে ডোকরার দুর্গামূর্তি তুলে দেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর সামনে সাঁওতালি নৃত্য়ের ছন্দে পা-ও মেলান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদাও। নাচ দেখে একসময়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে হাততালি দিয়ে ওঠেন রাষ্ট্রপতি ও রাজ্য়পাল। 


আরও পড়ুন, 'শুধু তৃণমূল নয়, বাম আমলেও চিরকুটে চাকরি', বিস্ফোরক দিলীপ 


মুখ্য়মন্ত্রীর প্রশংসা করেন দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন তাঁর হাতে, একে একে স্মারক তুলে দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানে, মুখ্য়মন্ত্রী-রাজ্য়পাল ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিধানসভার স্পিকার, কলকাতার মেয়র।  অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কলকাতার ৩ বড় ফুটবল দল, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাবের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতিরা। তাঁদের সামনেই রাষ্ট্রপতি বলেন, 'দেশের স্বাধীনতায় বাঙালি মনীষীদের অবদান ভোলার নয়। এত প্রতিভার জন্ম হয়েছে... নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে মাতঙ্গিনী হাজরা। এই মাটি উৎকৃষ্ট মাটি। বলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথাও বলেন তিনি।