কলকাতা : নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (President Droupadi Murmu) আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ ঘিরে যখন রাজনীতি তেতে উঠেছে, তখনই জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতিকে অসম্মানের অভিযোগে রবিবার মোদি সরকারের ( Modi Govt ) নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে তৃণমূল ( TMC ) -সহ ১৯টি বিরোধী দল। তখন শালবনির মতো আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে তৃণমূল নেত্রী গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মালদার পরে শালবনির সমাবেশেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যাবে তৃণমূল নেত্রী-কে। এর আগে আদিবাসীদের পাশে থাকার বার্তা দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, ' আদিবাসীদের পাশে বিজেপি আছে। তাই সারা দেশে এস সি, এস টি সিট সবথেকে বেশি বিজেপি জিতেছে। মোদি তাঁদের বাড়িতে লক ডাউনে চাল দিয়েছেন। পাকা বাড়ি দিয়েছেন। কর্মসংস্থান দিয়েছেন, কৃষি অর্থ দিয়েছেন। তৃণমূল এতদিন আদিবাসী খেপিয়ে ভোট নিয়েছে। আজ কুড়মিরা ওঁদের বিরুদ্ধে। আদিবাসীরা ওঁদের বিরুদ্ধে। মতুয়া ওদের বিরুদ্ধে। রাজবংশীরা ওঁদের বিরুদ্ধে'
আরও পড়ুন :
ভুল সময়ে জল পান করলে একাধিক রোগের ঝুঁকি, সঠিক ক্ষণ কখন ?
২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, সিপিআই, ডিএমকে, আপ, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-সহ ১৯টি বিরোধী দল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ তুলে বয়কটের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা।
১৯টি বিরোধী দলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে,' রাষ্ট্রপতিকে ছাড়া সংসদ চলতে পারে না। তবে তাঁকে ছাড়াই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অমর্যাদাকর কাজ রাষ্ট্রপতির পদের অবমাননা এবং সংবিধান লঙ্ঘনের সামিল। যেখানে দেশ প্রথম একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে সম্মান জানিয়েছে, সেখানে এ ধরনের কাজ চেতনায় আঘাত হানে। যেভাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সাইডলাইনে রেখে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে, তা শুধু অগণতান্ত্রিক নয়, চূড়ান্ত স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। যে সংসদে গণতন্ত্রের আত্মারই কোনও জায়গা নেই, সেখানে নতুন ভবনের উদ্বোধন আমাদের কাছে মূল্যহীন।'
গত মার্চে বাংলায় এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কলকাতায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হাতে তুলে দেন কলকাতার বিখ্যাত কে সি দাসের রসগোল্লা, দুর্গামূর্তি। রাষ্ট্রপতি মুর্মুও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে আদিবাসী বোনেদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন। আদিবাসী বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছিলেন। সেসবের আন্তরিক প্রশংসা করেন তিনি। সব সংস্কৃতির মানুষকে এভাবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন।