সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা কমলেও, টোম্যাটোর দাম ক্রমশ চড়ছে। একশো-দেড়শো পেরিয়ে এবার ২০০-র ঘরে টম্যাটো। কসবা থেকে গড়িয়াহাট, দক্ষিণের দুটি বাজারেই টোম্যাটোর আগুন দামে হাতে ছ্যাঁকা লাগার জোগাড় ক্রেতাদের। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ টম্যাটোয় আসছে বেঙ্গালুরু থেকে। সেই কারণেই দাম বৃদ্ধি।
শেষ পাতে একটু টোমেটোর (Tomato) চাটনি না খেলেই হয় না! এমনটাই কি আপনার ইচ্ছে থাকে সবসময়। কিন্তু এবার সেই ইচ্ছেয় রাশ টানতে হতে পারে। কারণ টমেটোর দাম এবার দুশোর ঘরে। সমস্যা হল রান্নায় স্বাদ আনতে টমেটো মধ্যবিত্তের নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির মধ্যেই পড়ে। কিন্তু সেই সবজির দামই এবার আকাশছোঁয়া। দেশের পাশাপাশি কলকাতার বাজারগুলিতেও কমবেশি দামে আগুন। গড়িয়াহাট থেকে কসবা দক্ষিণ কলকাতার দুই বাজারেই দাম এবার ছুঁয়ে গেল ২০০। পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির পরই খুচরো বাজারে অনেকটাই দাম বেড়েছে এই সবজির।
টোম্যাটোর দাম ক্রমশ চড়ছে: মাসখানেক আগে সবজির দাম যেভাবে বেড়েছিল এখন সবজির বাজার কিছুটা ঠান্ডা। ৫০ থেকে ৬০ টাকা মধ্যে এসে গিয়েছে গরমের সবজির দাম। এর পাশাপাশি মূলত শীতের যে সবজিগুলি তার দাম এখনও বেশ চড়া। সবচেয়ে বেশি যে ভোগাচ্ছে তা হল টোম্যাটোর দাম। প্রায় দিনই দেখা যাচ্ছে দুশো ছুয়ে ফেলছে টোম্যাটো। কোনও কোনও দিন তা থাকছে ১৬০ টাকা বা ১৮০ টাকা প্রতি কেজি। তাই অন্যান্য সবজির দাম কমলেও টোম্যাটোর দাম চিন্তায় রাখছে সবজি ব্যবসায়ীদের।
এদিকে আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থানের গঙ্গানগর থেকে, দিল্লি, আলিগড়, ওড়িশার বালেশ্বর হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্রমশ তা সরছে দক্ষিণবঙ্গের দিকে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, আজ থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবি ও সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দিনে ও রাতে অস্বস্তি বজায় থাকবে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। তবে আজ থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Dengue Campaigning: জমা জল দেখে মেজাজ হারালেন, নির্মাণ সংস্থার কর্মীকে সপাটে চড় মেয়র পারিষদের