গৌতম মণ্ডল, সুদীপ্ত আচার্য ও শিবাশিস মৌলিক , দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১৫ বছরেও নিয়োগ হয়নি। এবার, ডিপিএসসির সামনে মাথা কামিয়ে প্রতিবাদ জানালেন, ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি, গতকাল থেকে শুরু হয়েছে তাঁদের অনির্দিষ্টকালের জন্য় অনশন কর্মসূচি।


আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, 'আমাদের একটাই উদ্দেশ্য় নিয়োগ। দীর্ঘ ১৫ বছরের যন্ত্রণা আমরা নিতে পারছি না।' একটা চাকরির জন্য় আর কত কিছু বিসর্জন দিতে হবে জানেন না, এই তরুণ-তরুণীরা! তিনি আরও বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন। উনিও রেড রোডে আছেন। আমরাও বঞ্চনা নিয়ে আছি, উনিও বঞ্চনা নিয়ে আছেন। আমরা আমাদের বঞ্চনার কথা যখন ওঁকে জানাতে চাইছি, তখন বারবার অ্য়ারেস্ট করে লালবাজারে রাখা হচ্ছে। 
 
গ্রীষ্মের তাপে পুড়েছেন । বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজেছেন । শীতের হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা সয়েছেন । দিনের পর দিন, মাসের পর মাস রাস্তায় । কিন্তু, যার জন্য় এত কিছু, সেই চাকরি আর জোটেনি । এই প্রেক্ষাপটে ফের মাথা কামিয়ে, প্রতিবাদের পথে হাঁটলেন এই আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।চাকরিপ্রার্থী  শিউলি মণ্ডল বলেন, দিদির কাছে হাতজোড় করে আর্জি করছি, মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে, দিদি আপনি ধর্না দিচ্ছেন যেরকম কেন্দ্রের কাছে বঞ্চনার...আমরাও বঞ্চিত আজ ১৫ বছর। আপনি দয়া করে আমাদের দিকে দেখুন। 


গত বছরের ডিসেম্বর মাসে, ঠিক এভাবেই, চোখের জল ফেলতে ফেলতে প্রতিবাদে মাথা কামিয়েছিলেন এক মহিলা সহ ২ চাকরিপ্রার্থী।তারই পুনরাবৃত্তি এবার ডায়মন্ড হারবারে। জীবন থেকে চলে গেছে ১৫টা মূল্য়বান বছর!এখনও চাকরি পাননি ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য়, ডায়মন্ড হারবারে, DPSC ভবনের সামনে, অনশনে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে, নিয়োগের দাবিতে মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন এই আন্দোলনকারীরা।নবান্ন অভিযানেরও চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু, অধরাই থেকে গেছে নিয়োগ। 


আরও পড়ুন, মাধ্যমিকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই কর্তব্য পালন শিক্ষিকার, গার্ড দিতে এসে আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা..


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন,তাঁরা আন্দোলন করছেন, আমি আগেও বলেছি সরকার চাকরি দিতে চায়। যাঁরা যোগ্য় নিশ্চয়ই চাকরি পাবে। প্রসেসিং চলছে। হাইকোর্ট এখনও কোনও কপি দেয়নি। সরকার, মুখ্য়মন্ত্রী আন্তরিকভাবে চান যাতে তারা দ্রুত চাকরি পায়।এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য় অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা।