সুনীত হালদার, হাওড়া: প্রাথমিকে চাকরি (Primary Job) দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। হাওড়ায় (Howrah) গ্রেফতার বিজেপি নেতা। ধৃত সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার গত বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) প্রার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রেফতারির খবর পেয়ে আজ সকালে উদয়নারায়ণপুর থানার সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। ঘটনায় সিআইডি (CID) তদন্তের দাবি জানান তাঁরা।   


কী অভিযোগ? 


অভিযোগ, প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বিজেপি নেতা সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে কয়েকজনকে চেক দেন বিজেপি নেতা। সেই চেকও বাউন্স করে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে উদয়নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আবেদনকারীরা। গতকাল রাতে হাওড়া ময়দান এলাকায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে। বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


গতকাল রাতে হাওড়ার ফ্লাট থেকে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুমিতরঞ্জন কাঁড়ারকে গ্রেপ্তার করে উদয়নারায়নপুর থানার  পুলিশ। সেই খবর চাউর হতেই থানায় চাকরিপ্রার্থীরা জড়ো হন । সেখানে তারা বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি গোটা ঘটনার সিআইডি তদন্ত করতে হবে। আজ অভিযুক্তকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে।


আরও পড়ুন, অগ্নিপথে’ আজও আগুন, 'অশান্ত' বিহারে বন্ধ ইন্টারনেট, ১৪৪ জারি অযোধ্যায়


এদিকে, ২৬৯ নয়, বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল ২৭৩ জনকে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পেশ করা রিপোর্টে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতে পর্ষদ জানিয়েছে, টেট-প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে, নম্বর বাড়ানো হোক, এই মর্মে জমা পড়ে ২ হাজার ৭৮৭টি আবেদনপত্র। এঁদের মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থীকে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪-র টেট অফলাইনে হয়েছিল, অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা পর্ষদের কাছে ছিল না। হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্টে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।                                                                


টেট দুর্নীতির মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে যাদের চাকরি গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়া-হুগলির একাধিক তৃণমূল নেতার ছেলে-মেয়ে। কালনা শহরের একদা সিপিএম দাপুটে নেতার মেয়েরও চাকরি গেছে আদালতের নির্দেশে।