কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জট কাটার পরই প্রাথমিকে (Primary Teacher Recruitment) বড় নিয়োগের ঘোষণা। ৯ হাজার ৫৩৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ পর্ষদের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হল ২০২২-এর মেধাতালিকা। ঠেলায় পড়ে এবার চাকরিপ্রার্থীর নামের সঙ্গেই নম্বরের ব্রেকআপ প্রকাশ পর্ষদের। প্রাথমিকে ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩৩ জনকে দেওয়া হবে নিয়োগের সুপারিশপত্র। কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা থেকে নিয়োগপত্র হাতে পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।


আজই রাজ্যওয়াড়ি প্যানেল (Recruitment Pannel) প্রকাশ করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেই এই কাজ। বিজ্ঞাপনের সময় শূন্যপদ ছিল ১১,৭৫৮। তার মধ্যে থেকেই ৯ হাজার ৫৩৩ জনকে দেওয়া হবে নিয়োগের সুপারিশপত্র। যাঁদের নাম এই তালিকায় রয়েছে তাঁদের মধ্যে মূলত ২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণরা রয়েছেন। যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ব্রেক আপ নম্বর দেওয়া হয়েছে। যা এই প্রথম। এর আগে নম্বর নিয়ে একাধিকবার পর্ষদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। তারপরে এই প্যানেলের ক্ষেত্রে সব ক্ষেত্রের নম্বরের ব্রেকআপ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, একজন প্রার্থী ইন্টারভিউ, অ্যাপটিচিউড টেস্ট, টেট, ডিএলএড ট্রেনিং, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে কত নম্বর পেয়েছেন সব আলাদা করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।


পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি জেলে রয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে কীভাবে এবং কবে নিয়োগ হবে তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছিল। সেই আবহেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) হস্তক্ষেপের পর তালিকা প্রকাশ হল। ফলে নিয়োগ নিয়ে নানা অভিযোগ ও হতাশার মধ্যে আশার আলো বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।           


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি গৌতম পাল বলেন, '২২২৫ জন বাকি থাকছেন। সেটা এখন নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এখন যে নিয়োগগুলি হবে তা Subject to the outcome of the present petitions-সুপ্রিম কোর্টের। এর পরে সুপ্রিম কোর্টে যে শুনানি হবে, ২০২০-২২ ডিএলএড (D.el Ed) ব্যাচের। তার প্রেক্ষিতে যে রায় বেরোবে তখন এই ২২২৫ জনকে নিয়োগপত্র দিতে পারব।'


আরও পড়ুন: 'কাচ ভাঙা অবস্থায় বাংলায় ঢুকেছে...আমরা এসব করি না', মন্তব্য মমতার