কলকাতা: খাস কলকাতায় পুরনো বাড়ি সংস্কারের জন্য তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ( Accused Promoter)। তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় মার্কিন মুলুক প্রবাসী সফটওয়্যার আর্কিটেক্টকে মারধরের অভিযোগ। বাড়ির সামনেই রাস্তায় আটকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ স্থানীয় প্রোমোটার খোকন সর্দারের বিরুদ্ধে। রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের (Rabindra Sarobor Police Station)।
তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও বহুবার মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এরাজ্যে। অতীতে এন্টালিতে বাড়ির উপর বেআইনি নির্মাণে রাজি না হওয়ায় যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। সেসময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ২ জনকে। অভিযোগ, এন্টালির ছাতুবাবু লেনের বাড়ির উপরতলায় নির্মাণ কাজের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মহম্মদ জাভেদ নামে স্থানীয় এক প্রোমোটার। সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বাড়ির বাসিন্দারা। এরপর সন্ধেয় ওই বাড়ির এক যুবকের ওপর চড়াও হয়েছিল ২০-২৫ জনের দুষ্কৃতী দল। যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা তৃণমূলের বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর।
গতবছরের শেষে তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে দোকানে ঢুকে মার, গুলি করে খুনের হুমকির অভিযোগ উঠেছিল রহড়ার (Rahara) কল্য়াণ নগরে। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল তৃণমূলের শ্রমিক নেতার অনুগামীদের। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল মারধরের ছবিও। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর এই ঘটনা নিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন খড়দা (kharda) তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি অভিযুক্ত তৃণমূলের নাম করে এলাকায় তোলাবাজি করলেও দল চুপ ছিল।
খড়দায় ভরসন্ধেয় দোকানে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তোলা চেয়ে ব্যবসায়ীকে মারধরের পাশাপাশি ক্যাশবাক্স খুলে নগদ লুঠ করার অভিযোগও উঠেছিল। আক্রান্ত ব্যবসায়ী দীপু সাহার অভিযোগ ছিল, হুমকি দিচ্ছে দোকান বন্ধ করার। হুমকি দেওয়ার জন্য় প্রতিবাদ করতেই মারার হুমকি, গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন, মাধ্যমিকে রেলের তরফে বিশেষ সুবিধা, এই শাখায় লোকাল ট্রেনে অতিরিক্ত স্টপেজ
খড়দা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের, কল্যাণনগরে দুই ভাইয়ের স্টেশনারি দোকান রয়েছে। এই পাড়ারই বাসিন্দা উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার। আক্রান্ত ব্য়বসায়ীর অভিযোগ ছিল, দোকানে চড়াও হয়ে তোলা দাবি করেছিলেন খড়দার INTTUC নেতা গোপাল সাহার অনুগামীরা। ব্য়বসায়ী তোলা দিতে না চাওয়ায়, রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। দোকানে ভাঙচুরের পাশাপাশি, চলেছিল মারধর।