সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: এর আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এবার বিক্ষোভে উত্তাল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।  


মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অবস্থানে বসেছেন এসএফআই (SFI) সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ২০১৯-পর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে প্রেসিডেন্সির বাম ছাত্র সংগঠন। এর আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। অবস্থান বিক্ষোভে বসেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। একইভাবে ছাত্র ভোটের দাবি ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেখানে সমাবর্তনে উপস্থিত রাজ্যপালের সামনেই বিক্ষোভ দেখায় SFI ও ফেটসু। 


কদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও:
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরের সমাবর্তনে আচার্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ( Dr. C.V. Ananda Bose) সামনেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন FETSU  সদস্যরা। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মুহুর্মুহু উঠেছিল স্লোগান। পতাকা, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও। 


এর আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজও উত্তপ্ত হয়েছে ছাত্র ভোটের দাবিতে। পড়ুয়াদের একাংশ অনশন আন্দোলন করে। স্বয়ং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ১২ দিন পরে মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) থেকে ওঠে অনশন (Hunger Strike)। ২২ ডিসেম্বর ছাত্র ভোট করানোর দাবি শুরু করে আন্দোলনকারীরা। কর্তৃপক্ষ না চাইলেও ছাত্র ভোট করানোর দাবি করেন আন্দোলনকারীদের। ছাত্রভোটের দাবিতে অনড় থেকেও অনশন প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা। এরপর ২২ তারিখ কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেওয়ায়, নিজেরাই ভোট পরিচালনা করেছিলেন পড়ুয়ারা। বিশিষ্টদের নজরদারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া করা হয়। ওই দিনই ফল প্রকাশিত হয়। এভাবেই হয়েছিল অভিনব ছাত্র সংসদ নির্বাচন।   


শিক্ষামন্ত্রীর ইঙ্গিত:
যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। কলেজগুলির ক্ষেত্রে ৫-৬ বছর ছাত্র ভোট হয়নি। তাই এবার ভোট করাতে উদ্যোগী সরকার। পঞ্চায়েতের আগে হতে পারে ছাত্র ভোট। রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতর যৌথভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, 'আমি ছাত্র ভোট নিয়ে আশাবাদী। ছাত্র ভোট হবেই। অনেক সমস্যা, প্রোটোকল, অতিমারীর প্রভাব, আমরা পুরোটা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তারপরেও আশাবাদী যে নির্বাচন করতে পারব। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে না। এটা শিক্ষা দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতর যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। রাজ্যে কবে অনুকূল পরিবেশ বা পরিস্থিতি আছে, কোন সময় আমরা নির্বাচন করব তা সিদ্ধান্ত নেবে ওই দুই দফতর। সেটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চেয়েছি।' তার পরেই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। 


আরও পড়ুন: হকের চাকরির দাবিতে আজ একজোট হয়ে রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠন