রানা দাস, আবির দত্ত, কাটোয়া: কলকাতার (Kolkata) হরিদেবপুরে অটো (Auto Rickshaw) থেকে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ (Bomb-Arms-Bullets) উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়ায় (Katwa) যাত্রীবোঝাই বাস থেকে উদ্ধার হল বিস্ফোরক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিস্ফোরক পাচারের ছক বানচাল করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF of West Bengal Police) ও কাটোয়া থানার (Katwa Police Station) পুলিশ।
বাস থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক
পুলিশ সূত্রে খবর, কাটোয়া-কালনা রুটের বাসে বিস্ফোরক পাচার করা হবে, গোপন সূত্রে এই খবর এসেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করা হয়ে কাটোয়া থানাকে। এরপরেই শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে দাবি, গড়াগাছা এলাকায় কাটোয়া থেকে কালনাগামী এক বাস থামিয়ে তল্লাশি চালাতেই এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় চার কেজি বিস্ফোরক।
বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২
বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে এজবুল শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে রবিউল শেখ নামে আরও একজনের হদিশ মেলে। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, রবিউলই বিস্ফোরক বিক্রি ও পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। এরপর তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, রবিউলের বাড়ি থেকেও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরক পাচারের তদন্তে পুলিশ
কীভাবে চলত এই পাচারচক্র? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহার থেকে বিস্ফোরক আনত রবিউলই। তারপর একাধিক পাচারকারীর মাধ্যমে তা বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হত। বিস্ফোরক পাচারের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বাসকেই বেছে নেওয়া হত। বর্ধমান গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বিস্ফোরক কোথায় কী উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে বিস্ফোরক পাচার চক্রে আরও কারা জড়িত, কোথা থেকে বিস্ফোরক আনা হত, কোথায় মজুত করা হত, ধৃতদের জেরা করে তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।