কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : লাগেজ স্ক্যানারের পাশে পড়ে ছিল কিছু। সেটা দেখতে গিয়েই বিপত্তি ! স্টেশনে মালপত্র পরীক্ষার জন্য বসানো স্ক্যানারের মধ্যে আটকে গেল শিশুর হাত। যে ঘটনা ঘিরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য হুলস্থূল বর্ধমান স্টেশনে (Burdhaman Station)। সৌভাগ্যবশত, আরপিএফের তৎপরতায় বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। অক্ষত রয়েছে শিশুটি। শনিবার বিকেলে বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মূল গেটের মুখে রাখা লাগেজ স্ক্যানার (Luggage Scanner) আর পাঁচটা দিনের মতোই জিনিসপত্র চেক করা চলছিল। তখনই হঠাই সেখানে নিচু হয়ে এগিয়ে এসে আটকে পড়ে এক শিশু। দেখা যায়, স্ক্যানারের রিভলভিং চাকার মাঝে আটকে যায় এক শিশুর হাত। ঘটনাস্থলে থাকা আরপিএফ ঘটনাটি দেখেই তাড়াতাড়ি এগিয়ে গিয়ে বন্ধ করে দেন মেশিনটি।
স্ক্যানার মেশিনটি বন্ধ করার পরই সেখানে এসে পৌঁছন বাকি রেলকর্মীরাও। তারা দ্রুত স্ক্যানারের রিভলভিং আর্মগুলো খুলে নিয়ে শিশুটির হাত বের করে আনেন। মিনিট পনেরো-কুড়ির মতো স্ক্যানারে হাত আটকে ছিল শিশুটির। তবে ঘটনাস্থলে থাকা আরপিএফের তৎপরতায় দ্রুত স্ক্যানারটি বন্ধ করার জেরেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলেই মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
যদিও স্টেশনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্ঠনির চোখ এড়িয়ে কীভাবে শিশুটি স্ক্যানারের কাছে এভাবে পৌঁছে গেল। বা এভাবে ঝুঁকে স্ক্যানারের দিকে সে এগিয়েও গেল কীভাবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। যদিও সৌভাগ্যবশত, শিশুটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। উদ্ধারের পরে প্রাথমিক চিকিৎসা করে স্টেশন চত্বরেই থাকা শিশুটিকে তার বন্ধুদের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই হাওড়ার এক শপিংমলে ঘটেছিল একই রকমের দুর্ঘটনা। চলমান সিঁড়িতে আটকে গিয়েছিল এক শিশুর হাত। শিশুটির চিৎকারে তৎক্ষণাৎ বন্ধ করা হয়েছিল চলমান সিঁড়ি। যদিও সেক্ষেত্রে শিশুটিকে উদ্ধার করতে লেগে গিয়েছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা। শেষপর্যন্ত চলমান সিঁড়িটিকে খুলে ফেলে উদ্ধার করা হয়েছিল শিশুটিকে।
আরও পড়ুন- হারিয়েছে ফোন ? খুঁজে দেবে পুলিশই ! কী কী ধাপে এগোবেন ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন https://t.me/abpanandaofficial