কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: দুর্গাপুজো শেষ হতে হতেও যেন হল না। পুজো শেষ হলেও হঠাৎই দেবীর উদয়। দেবী এখানে অষ্টভূজা, দশভূজা নয়। অষ্টভূজা দেবী দুর্গার মূর্তি উদ্ধার ঘিরে আলোড়ন। দামোদর নদ থেকে উদ্ধার মহিষমর্দিনী মূর্তি, প্রাক-পালযুগের অষ্টভূজা মূর্তি উদ্ধারে এলাকা জুড়ে আলোড়ন।

Continues below advertisement

গলসী থানার দাদপুর গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীদের প্রবল বাধা সত্ত্বেও গলসী থানার পুলিশ মুর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মূর্তিটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দোওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে দামোদরে মাছ ধরতে যাওয়া কয়েকজন জেলের জালে মূর্তিটি জড়িয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করে জাল ছিড়ে গেলেও মূর্তিটি রাতের বেলায় নদীর পারে আনতে ব্যর্থ হন জেলেরা। 

Continues below advertisement

এরপর রবিবার সকালেই ফের তাঁরা নদীতে গিয়ে মূর্তিটি তুলে গ্রামে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঐতিহাসিক মূর্তিটি উদ্ধার করার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কাছে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পরে অনেক বোঝানোর পর মূর্তিটি উদ্ধার করতে সমর্থ হয় গলসী থানার পুলিশ।                                                                                                 

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মূর্তিটি প্রাক-পালযুগের একটি দুর্লভ মহিষমর্দিনী মূর্তি। সাধারণত এই ধরনের দুর্গা বা মহিষমর্দিনী মূর্তি দেখায় যায় না। অষ্টভূজা মূর্তিটি বেলেপাথরের উপর নির্মিত। 

রবিবার সকাল থেকেই মূর্তিটি দেখার জন্য ভিড় জমতে শুরু করে ওই মন্দিরে। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, শীঘ্রই মন্দিরে মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কী ভাবে ওই মূর্তিটি নদীতে এল, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। 

পুলিশ সূত্রে খবর, মূর্তিটির উচ্চতা ২ ফুট সাড়ে ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১ ফুট ৯ ইঞ্চির মতো। বেলেপাথর দিয়ে তৈরি । ওই মূর্তিটি পাল এবং সেন যুগের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মূর্তির বয়স ১২০০-১৩০০ বছরের বেশি বলে মনে করছেন কেউ কেউ।