কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ফের রাজ্যে আক্রান্ত নারী। বাড়ির পাশের সবজি খেত থেকে এক আদিবাসী ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ সূত্রের খবর, গলার নলি কাটা অবস্থায় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বর্ধমান থানার অন্তর্গত নান্দুর এলাকার ঘটনা। বর্ধমান থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত ছাত্রীর বাবা।


বেঙ্গালুরুর একটি শপিংমলে কাজ করতেন ওই ছাত্রী। চাকরি করতে করতেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে করেসপনডেন্স কোর্সে মাস্টার ডিগ্রি করছিলেন। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন ওই ছাত্রী। মৃতার মা জানিয়েছেন বুধবার সন্ধ্যায় শৌচকর্মে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তাঁর মেয়ে। হাতে মোবাইল ফোন নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই ছাত্রী। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না। বেশ খানিকক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বুধবার সন্ধে সাতটা-সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে সবজি খেতের পাশ থেকে ছাত্রীর নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়।


মায়ের দাবি, শৌচকর্মে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিলেন তিনি। মিনিট দশেক পরেও না আসার খোঁজ খবর শুরু করা হয়। কিছুক্ষণ পরে এদিক ওদিক খুঁজতেই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। গতকাল আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করা হয়। 


কদিন আগেই আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে সেমিনার রুম থেকে  উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারী নিরাপত্তা। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে সারা বাংলায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। যেখানে রাজ্যজুড়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে আন্দোলন চলছে সেই আবহেই পূর্ব বর্ধমানে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।   


রাজ্যে যখন আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোলপাড়, তখন বর্ধমানের এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠেছে। কেন বারবার রাজ্য়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও জলঘোলা হচ্ছে। বুধবার রাতের ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার কেটে গিয়ে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। সেই কারণেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: রাখিবন্ধনের তিথিতে বিরল শুভযোগ! এই ৪ রাশির ভাগ্যে 'বাম্পার লটারি'