রাণা দাস, পূর্বস্থলী (পূর্ব বর্ধমান) : তীব্র দাবদাহে (Heatwave) পুড়ছে বঙ্গ (West Bengal)। এর মাঝে কার্যত নরক-যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) পূর্বস্থলীর (Purbashtali) কাদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। দীর্গ ১৪ দিন যাবৎ বিদ্যুৎহীন (Electricity) ছিল গোটা গ্রাম। প্রায় এক পক্ষকালের প্রবল সমস্যার পর শেষমেশ সুরাহা। শুক্রবার দুপুরে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরল পাখা। স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে দুর্দশা দূর হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেন এবিপি আনন্দকে (ABP Ananda)। মাঝে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ১৪ দিন ধরে বিদ্যুত্হীন ছিল এই গ্রাম। আজ সকালে এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টাল পরিস্থিতি।
ঠিক কীভাবে এগোয় ঘটনাক্রম
এদিন সকালে প্রথম পূর্ব বর্ধমানে পূর্বস্থলীর কাদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ-যন্ত্রণার কথা প্রথম সামনে আনে এবিপি আনন্দ। আর তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের পর গ্রামে পৌঁছন বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা। খারাপ হয়ে যাওয়া ট্রান্সফর্মার পাল্টে চালু করেন বিদ্যুত্ সরবরাহ। যদিও বিদ্যুত্ আসতে এত দেরি কেন, প্রশ্ন তুলে বিদ্যুত্ দফতরের (Electricity Department) কর্মীদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়নি বলেই খারাপ হয়ে যাওয়া ট্রান্সফর্মার সারিয়ে দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
গ্রামে প্রায় আড়াইশো পরিবার রয়েছে। ওই পরিবারগুলির বেশ কয়েকজন সদস্য অসুস্থ। তাঁরা আরও বিপদে পড়েছিলেন গোটা পরিস্থিতিতে। গ্রামবাসীদের দাবি, বিদ্যুত্ দফতরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বিদ্যুত্ দফতরের প্রাথমিক দাবি ছিল, সপ্তাহ খানেক আগে একটি নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের আগেই গ্রামের কয়েকজন সেই ট্রান্সফর্মার চালু করতে যান। তাতে ট্রান্সফর্মার পুড়ে গিয়েই এই বিপর্যয় হয়েছে।
লোডশেডিংয়ের বিক্ষোভ দুর্গাপুরেও
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার মধ্যেই ঘন ঘন লোডশেডিং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপে। খালি গায়ে হাতে পাখা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। যোগ দেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরও।
আরও পড়ুন- টিউবওয়েল থেকে জল তুলে বিক্রির অভিযোগ, অভিযান চালিয়ে বেআইনি কারবার বন্ধ করল প্রশাসন