রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: চুরি যাওয়া বিপুল পরিমাণ নগদ (cash) ও সোনার গয়না (gold jewelery) উদ্ধার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। উদ্ধার নগদের পরিমাণ ৯ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। সঙ্গে ৫২ গ্রাম সোনার গয়নাও পাওয়া গিয়েছে। 


কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলির ত্রিবেণীর বাসুদেবপুরের বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক সন্দীপ কুমার দাস বর্তমানে কর্মসূত্রে বর্ধমানের ২৭ নং ওয়ার্ডের বাবুরবাগ এলাকায় থাকেন। গত ৯ ই অক্টোবর বাবুরবাগের সেই বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগেই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ও ১৭ ভরি সোনার গহনা চুরি যায়। চিকিৎসক সন্দীপ কুমার দাস বর্ধমান থানায় অভিযোগও করেন। এর পরই তদন্তে নামে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ধরে বোলপুরের গয়েশপুর ক্যানাল পার এলাকা থেকে মীর বাদশা ওরফে বিকি নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর একাধিক এলাকা থেকে প্রায় ৯ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৫০ টাকা ও প্রায় ৫২ গ্রাম সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। উদ্ধার হওয়া সোনার গয়না ও টাকা আদালতের নির্দেশক্রমে সন্দীপ কুমার দাসের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্র্যাফিক ২ রাকেশ কুমার চৌধুরী।


বার বার এক ঘটনা?
গত নভেম্বরেই নগদ ১১ লক্ষ টাকা ও ৩ লক্ষ টাকা সোনার গয়না উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল হাওড়া স্টেশনে। আরপিএফ সূত্রে খবর, সেদিন সকাল পৌনে ন'টা নাগাদ তাদের একটি দল হাওড়া স্টেশনের আট নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছিল। তখনই এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ব্যাগ খুলে তল্লাশি করা হয়। দাবি, তখনই তাঁর ব্যাগ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও কিছু সোনার জিনিস পাওয়া যায়। ব্যক্তির নাম ভিকি কুমার বলে জানা যায়। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া নগদ ও সোনার জিনিসের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল ভিকিকে। কিন্তু তিনি কিছুই পেশ করতে পারেননি। এর পর কলকাতার আয়কর অফিসের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। ধৃত ভিকি কুমার-সহ যাবতীয় টাকা ও সোনা তুলে দেওয়া হয় আয়কর আধিকারিকদের হাতে।


আরও পড়ুন:ব্রাজিলের ম্যাচ দিয়ে শুরু, কোয়ার্টার ফাইনালে কবে, কোন দল, কাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে?