কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান:পুরসভা ভোটের (Municipal Election) আগে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। চিটফান্ড কাণ্ডে (Sanmarg Chit Fund Scam) বর্ধমানের পুর প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের (Pranab Chatterjee) গ্রেফতারিতে এমনই অভিযোগ করছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে এ বার রাজনীতিকের পরিবর্তে সরকারি আধিকারিকদের পুরসভার দায়িত্বে আনার দাবি তুলল বিজেপি (BJP)। তাদের দাবি, সরকারি আধিকারিকদের পুরসভার প্রশাসক করলে সুবিধা নয়। তাঁরা পুরসভার কাজে সময় দিতে পারেন, যা রাজনীতিকদের পক্ষে সম্ভব হয় না।


৯০ কোটি টাকার সন্মার্গ চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রণব। তাঁর হাত দিয়ে পৌনে চার কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI)। সোমবারই প্রণবকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আর তার পরই সরকারি আধিকারিকদের পুরসভার চেয়ারম্যান করার দাবিতে সরব হল বিজেপি। দলের বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নয়, কোনও সরকারি আধিকারিককেই পুরপ্রশাসক করা হোক। তাহলে পুরসভার কাজে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে।’’


কিন্তু শ্যামলের এই দাবি খারিজ করেছেন জেলা তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তাঁর বক্তব্য, ‘পৌরসভা এবং সংলগ্ন এলাকা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিকে পুরপ্রশাসক নিয়োগ করাই নিয়ম। সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের দফতরের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। পুরসভায় যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন না তাঁরা। সময় দিতে পারবেন, এমন ব্যক্তিকেই পুরসভার প্রশাসক নিয়োগ করা বাঞ্চনীয়।’’


গত বৃহস্পতিবার জেরা করার জন্য ডেকে পাঠিয়ে প্রণবকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পরই তাঁর বিকল্প নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়। জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নয়া পুরপ্রশাসক নিয়োগ করা হবে। কিন্তু তার পরেও সমোবার পর্যন্ত নয়া পুরপ্রশাসক নিযুক্ত হননি। বর্ধমান পুরসভায় প্রশাসকের (Burdwan Municipal Chairman) ঘর বন্ধ থাকলেও, তার বাইরে নেমপ্লেটে এখনও প্রণবের নামই জ্বলজ্বল করছে।


তৃণমূল সূত্রে খবর, পাঁচ জনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে রাজনীতিকের নামও যেমন রয়েছে, তেমনই বিভিন্ন পেশার মানুষের নামও সামিল। কিন্তু কে কে তালিকায় রয়েছেন, তা এখনও পর্যন্ত খোলসা করা হয়নি। তাতেই পুরপ্রশাসক নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।