কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: লোকালয় থেকে পাঁচটি গন্ধগোকুল  (Gandhagokul) উদ্ধার। ৪ শাবকসহ একটি পূর্ণবয়স্ক মহিলা গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্ধমানের (Burdwan) ২ নম্বর ইছলাবাদ থেকে উদ্ধার হয় গন্ধগোকুলগুলি (Asian palm civet)। বর্ধমান শহরের ২ নং ইছলাবাদের বাসিন্দা আলোক পালের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এই প্রাণীগুলি ।


অলোক পাল প্রাণীগুলিকে দেখতে পেয়ে বর্ধমান সোসাইটি ফর অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।খবর পেয়েই সংস্থার সদস্যরা হাজির হন ইছলাবাদ এলাকায়। উদ্ধার করা হয় মা গন্ধগোকুল সহ ও বাচ্চাদের।শারীরিক পরীক্ষার পর গন্ধগোকুলগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।


 প্রাচীন গাছ ও বনজঙ্গল এলাকা হ্রাস পাওয়ায়   গন্ধগোকুলের সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। এই স্তন্যপায়ী প্রাণী নিশাচর। প্রধানত ফলমূলই এদের খাবার। তবে কীটপতঙ্গ, শামুক, ছোট প্রাণী এদের খাদ্য। ইঁদুর ও ফসলের পক্ষে ক্ষতিকর অন্য পোকামাকড় এরা কৃষিকাজের উপকার করে। এই প্রাণী মানুষের কোনও ক্ষতি করে না।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে চুঁচুড়ার গরীব আমলবাগে বাঘরোলের মৃতদেহ  উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ঘটনার দিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে একটি বাঘরোল শাবকের মৃতদেহ। এর কয়েকদিন আগে হাওড়ার বাগনানে তিনটি বাঘরোলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।বিরল এই মেছো বিড়ালকে বিষ দিয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।তবে চুঁচুড়ার বাঘরোল শাবকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা বলতে পারেননি বাসিন্দারা।তাঁদের অনুমান, পাশেই বন্ধ ডানলপ কারখানার জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে বাঘরোলটি।রাতে পাড়ার কুকুর ডাকতে শোনেন বাসিন্দারা। সকালে বাঘরোলটিকে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়।নিরীহ এই বন্য প্রাণী এই এলাকায় আগে দেখা যায়নি বলেও জানান বাসিন্দারা।


হাওড়ার বাগনানের কালিকাপুরে ৩টি বাঘরোলকে বিষ খাইয়ে খুনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তিনটি বাঘরোলকে। যে ঘটনায় বাগনানের স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পশুপ্রেমী সকলেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। জানা গিয়েছে, প্রভাস ও প্রভাত পাত্র নামে দুই যুবকের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনটি বাঘরোলের মৃত্যুর পর থেকেই ফেরার হয়ে যায় তারা। বন দফতরের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ফেরারদের খুঁজে দিলে আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।