কমলকৃষ্ণ দে, আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) : আউশগ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে গুলি করে খুন। দলীয় কর্মসূচি থেকে পঞ্চায়েত অফিসে ফেরত আসার সময় তাঁদের(পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলে) লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এই দুষ্কৃতী হামলার নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
দেবশালা অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সি এবং তাঁর ছেলে চঞ্চল বক্সি। তাঁরা দুজনে আজ আউশগ্রামের গেঁড়ায় দলীয় বৈঠকে এসেছিলেন। দুপুরে বৈঠকে সেরে বাইকে দেবশালা পঞ্চায়েতের দিকে ফিরছিলেন বাবা-ছেলে। অভিযোগ, সেই সময় ভাতকুণ্ডা ও গেঁড়ার জঙ্গলের মাঝখানে তাঁদের বাইক লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে গুলিবিদ্ধ হন চঞ্চল। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে জামতাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রধান শ্যামল বক্সি বলেন, ভাতকুণ্ডা ও গেঁড়ায় জঙ্গলের কাছে তাঁরা যখন ফিরছিলেন সেই সময় দুটি বাইক তাঁদের ওভারটেক করে। ওই দুটি বাইক থেকে সাত রাউন্ড মতো গুলি চালানো হয়।
পিকনিকে গিয়ে যুবকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মেমারিতে গ্রেফতার ২
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জুলাই হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআই-কে। বিচারপর্ব যেন বাংলার বাইরে হয়। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের দিয়ে এসআইটি গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটি। সেই মামলায় হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে নির্দেশ দিয়েছিল, আদালতের নজরদারিতে- খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। এর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এই প্রেক্ষাপটে আজ এই খুনের ঘটনা। তবে কী কারণে এই খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।