রানা দাস, কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান): কাটোয়ায় এনটিপিসি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে পারবে না। তাই এনটিপিসির কাছ থেকে জমি নিয়ে রাজ্য সরকার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বা  অন্য কোন শিল্প সেখানে গড়ে তুলুক। এই প্রস্তাব দিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন কাটোয়ার তৃণমূলের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আশঙ্কা কেন্দ্র সরকার এই জমি কোনও বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দিতে পারে।


আর সেই চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির সাফ হুঁশিয়ারি, এখানে তাপ বিদ্যুৎ ছাড়া অন্য কিছু হতে দেব না। তাদের বক্তব্য তৃণমূলের টালবাহানার কারণে এতদিন কাজ করা যায়নি। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন,এখানে কয়লা  উত্তোলন হবে, তখন বিধায়ক কী করে বলতে পারেন রাজ্য সরকার এনটিপিসি-র কাছ থেকে জমি  ফেরত নিয়ে নিক। আসলে এই  জমির ওপর চোখ পড়েছে তৃণমূল নেতাদের। এখানে এনটিপিসি যাতে তাড়াতাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলে তার জন্য বিজেপির তরফ থেকে কেন্দ্রকে চিঠিও দেওয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 


অন্যদিকে যে বামফ্রন্টের হাত ধরে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সূচনা হয়েছিল সেই সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক জমি ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের বিধায়কের। তবে তার খোঁচা দশ বছরে রাজ্যে কোনও কলকারখানায় হয়নি। বরং বিভিন্ন কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, ১০ বছর পরে কেন হঠাৎ রাজ্য সরকারের এই জমি নিয়ে এত চিন্তা কেন?


উল্লেখ্য, এর আগেও  কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ আটকে থাকায় কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ২০১৯-এ তৎকালীন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই প্রকল্পের কাজ আটকে থাকা নিয়ে কেন্দ্রকে দুষেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সমস্ত ধরনের পরিকাঠামো প্রস্তুত থাকলেও রাজনৈতিক অভিসন্ধির কারণেই কেন্দ্র এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ আটকে রেখেছে। তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগও তুলেছিলেন।


Dilip Ghosh: 'ইডি-র জেরার পর অনেকে আবোল-তাবোল কথা বলে', অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের