কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মেমারিতে হিমঘরে আলু রাখার পরেও তাতে ধরেছে পচন। হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই কাঠগড়ায় তুলছেন কৃষকরা। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ হিমঘর মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্থানীয় প্রশাসন। সমাধানসূত্র না মেলায় আগামী ৬ জুন বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফসল ফলানোর খরচ জোগাড় করতে, কেউ বন্ধক রেখেছেন গয়না। কেউ আবার সমবায় থেকে চড়া সুদে ধার করেছেন টাকা। পূর্ব বর্ধমানের আলুচাষীদের অভিযোগ, বহু কষ্টে উৎপাদিত আলু হিমঘরে রাখা সত্ত্বেও তাতে পচন ধরেছে।
আলু বাজারে বিক্রি করতে না পেরে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুনীতা ঘোষ বলেন, ''ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে চাষ করেছি। অথচ হিমঘরে রাখা সেই আলু পচে গেছে। ক্ষতিপূরণ না পেলে আত্মহত্যা করব।
ভুক্তোভোগী কৃষকদের অভিযোগ, হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই নষ্ট হয়েছে বস্তা বস্তা আলু। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষকদের একাংশ। পূর্ব বর্ধমানের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শেখ মোফিজ বলেন, ''১৮০০ টাকা প্রতি বস্তা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে তারা ১১০০ টাকা প্রতি বস্তাতে রাজি হই। অভিযোগ তাতেও হিমঘর কতৃপক্ষ রাজি হয়নি।''
সোমবার কৃষকদের এই দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে হিমঘর মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ব্লক প্রশাসন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকরাও। সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরেও কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় আগামী ৬ জুন ফের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেমারি ১নং ব্লকের বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালি উল্লাহ বলেন, ''বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেখে ফের আলোচনায় বসব।'' কবে মিলবে ক্ষতিপূরণ? এখন প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন ভুক্তোভোগী কৃষকরা।
ধৃত শতাধিক ভুয়ো পরীক্ষার্থী
কনস্টেবল নিয়োগে তৎপর রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। আর রাজ্য পুলিশের সেই কনস্টেবল পদের পরীক্ষাতেই উঠল ভুয়ো পরীক্ষার্থীর অভিযোগ। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ফাঁস থেকে শুরু করে, ভুয়ো পরীক্ষার্থী ভাড়া করে পরীক্ষা দেওয়া, একাধিক অভিযোগ। রবিবার সল্টলেক, লেকটাউন ও হাওড়ার ব্যাঁটরা এলাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে একের পর এক ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)।