কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: তেজস্ক্রিয় পদার্থ (Radioactive Material) বলে ৫০ লক্ষ টাকায় হাতবদল হচ্ছিল সন্দেহজনক এক বস্তু। সেই সময়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে হুগলির শ্রীরামপুর (Serampore) থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান (Bardhaman) থানার পুলিশ। জেরায় ধৃতের দাবি, তিনি অরুণাচলের অবসরপ্রাপ্ত বিডিও।


তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রির ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক-


খবর, সুধন্য দে নামে বছর সাতষট্টির এক ব্যক্তিকে হুগলির শ্রীরামপুর থানার প্রভাসনগর এলাকার থেকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি হুগলির হরিপাল থানার বাহিরখন্ডে। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রি করার নামে প্রতারণার ঘটনায় যুক্ত থাকার। এর আগে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। এবার আরও একজন আটক হল। ধৃতকে আজ ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। আদালত ১০ দিনেরই পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুধন্য দে নামে ওই ব্যক্তি রাজারহাটের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই সন্দেহজনক পদার্থটি পান। পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন, রাজারহাটের ওই জনকৈ ব্যক্তি প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী কেনাবেচায় জড়িত। 


আরও পড়ুন - Purba Bardhaman News: ল্যাংচার দোকানে ঢুকে পড়ল গ্যাস ট্যাঙ্কার, ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ


সূত্রের খবর, গত রবিবার বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা এলাকা থেকে একটি সন্দেহজনক পদার্থকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রির চেষ্টা হচ্ছিল। ওই পদার্থটি হাতবদলের সময় পুলিশ আশীষ বন্দোপাধ্যায়, নিমাই দাস ও পার্থ পাল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ৯৪৩ গ্রাম ওজনের একটি সন্দেহজনক পদার্থ উদ্ধার হয়। যা ধৃতদের পক্ষ থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে দাবি করা হয়। পুলিশ তাদের জেরা করে হুগলির শ্রীরামপুর থেকে শিউজি পান্ডে নামে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। শিউজিকে জেরা করেই সুধন্য দে'র নাম পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই সন্দেহজনক ওই পদার্থটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সেটিকে ভাবা রিসার্চ সেন্টারে পাঠান হয়েছে।