কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে ভেজাল সরষের তেল তৈরি চক্রের হদিশ। বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ নকল সরষের তেল, বিভিন্ন নামী কোম্পানির স্টিকার, ট্যাঙ্কার ও খালি টিন। ঘটনায় ধৃত তিনজনের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। 


এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। চুরির অভিযোগের তদন্তে নেমে নকল সরষের তেল তৈরি চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ছিনুই এলাকার ঘটনা। ভেজাল সরষের তেল কারখানায় অভিযান। অভিযান মেমারি থানার পুলিশের। মেমারির ছিনুই এলাকার ঘটনা। ঘটনায় গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। উদ্ধার ৫২ টি ভেজাল সরষের তেল ভর্তি টিন,৭২ টি খালি টিন ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।
এছারাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি ভর্তি খাবার তেলের টাঙ্কার।



পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গতকাল রাতে মেমারির ছিনুই এলাকায় একটি ভোজ্য তেলের ট্যাঙ্কার থেকে তেল চুরি করা হচ্ছে বলে খবর আসে মেমারি পুলিশের কাছে।এরপরই মেমারি থানার পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি তেল প্যাকেজিং করার গোডাউনের হদিশ পায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৫২ টিন নকল সরষের তেল,৭৪ টি খালি টিন ও ৫০ হাজার টাকা ও বেশ কিছু নামী কোম্পানির স্টীকার বাজেয়াপ্ত করে।



পুলিশ সূত্রে  আরোও জানা গেছে,এখানে রাইস অয়েলের সাথে রাসায়ানিক মিশিয়ে সরষের তেল তৈরী করে বিভিন্ন কোম্পানির স্টীকার সেটে তা বাজারে বিক্রি করা হত। এমনকি সেই তেলে সর্ষে তেলের মতো ঝাঁঝ ও রঙ আনতে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হত।


পুলিশ নকল সরষের তেল বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। আজ তাদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সামগ্রিকভাবে ভেজাল তেল  তৈরীর সাথে আর কারা কারা জড়িত, কিভাবে বা কাদের মাধ্যমে সেই তেল বাজারজাত হত তা খতিয়ে দেখছে মেমারী থানার পুলিশ।তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি কতটা ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছিলো তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের পক্ষে রাসায়নিকের নমুনা ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হচ্ছে।



পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়, উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ট্যাঙ্কার থেকে ভোজ্য তেল চুরির অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশকর্মীরা। তখনই একটি গোডাউনের সন্ধান মেলে। সন্দেহ হওয়ায় সেখানে ঢুঁ মারতেই পর্দাফাঁস হয় নকল সরষের তেল তৈরির। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, রাইস অয়েলের সঙ্গে রাসায়ানিক মিশিয়ে নকল সরষের তেল তৈরি করে, তাতে বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার সেঁটে বিক্রি করত অসাধু কারবারীরা।