রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব  বর্ধমানের (East Burdwan)  কাটোয়ায় (Katwa) গ্রামে ঢুকতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল (MP Sunil Mandal)। মালঞ্চ এলাকায় তাঁর সাংসদ তহবিলে তৈরি সেতু পরিদর্শনে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুনীল মণ্ডল।  তাঁকে বিজেপি নেতা হিসেবে উল্লেখ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাটোয়ার বিধায়ককে কটূক্তি করেছেন, আজেবাজে মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে কার্যত সাংসদকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 


কাটোয়ার গ্রামে এই বিক্ষোভ সম্পর্কে সুনীল মণ্ডল কোনও দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি। তিনি বলেছেন, ‘মত্ত অবস্থায় কয়েকজন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পুরো ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূলকে জানাব।’ দলের জেলা সভাপতি ও নেতৃত্বকে এ ব্যাপারে তিনি জানাবেন বলে জানিয়েছেন সুনীল মণ্ডল। 
এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন,  ‘দলের কেউ কিছু করেছে কিনা, খোঁজ নিয়ে দেখব।’


বিক্ষোভকারীরা এই সেতু তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও করেছেন। 


রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল। কিন্তু ভোটের পর বিজেপির সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁরা তৃণমূল থেকে এসেছে, বিজেপি তাঁদের মানতে পারছে না। বিজেপি মনে করছে এদের বিশ্বাস করা ঠিক হচ্ছে না। ভেবেছিলাম বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে বড় দল। কিন্তু সেরকম ভাবে পাচ্ছি না।’সুনীল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘শুভেন্দু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক অক্ষরও মানেননি।শুভেন্দুকে নিয়ে একটা কথাও বলতে চাই না।’  


এরপর সুনীল মণ্ডল দাবি করেছিলেন, "আমি তৃণমূলেই আছি। সেখান থেকে পদত্যাগ করিনি। আমি তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব। বিজেপিতে কোনও সদস্যপদও নিইনি’। 


উল্লেখ্য, শিশির অধিকারীদের সঙ্গে তাঁর সদস্যপদ বাতিলেরও আর্জি লোকসভার অধ্যক্ষর কাছে জানিয়েছিল। কিন্তু লোকসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁকে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গেই থাকতে দেখা গিয়েছে।