কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: খুনের ঘটনার (Murder Case) সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের হাতে আক্রান্ত আউশগ্রাম থানার আইসি, সেকেন্ড অফিসার-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। লাঠি,বাঁশ নিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুরুতরভাবে জখম আইসি আব্দুর রব খাঁন, সেকেন্ড অফিসার উত্তম পাল-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। 


গুরুতর জখম অবস্থায় আইসি ও সেকেন্ড অফিসার


গুরুতর জখম অবস্থায় আইসি ও সেকেন্ড অফিসারকে বর্ধমানের ১৯ নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। গত ৯ আগষ্ট আউশগ্রামের সোমাইপুরে মাঠের মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সুমি সোরেন নামে জনজাতি মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে খুনের মামলা শুরু করে তদন্তে নামে পুলিশ। ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের সন্ধান পায়। তারপরই সন্ধ্যায় সেখানে আউশগ্রাম থানার আইসি আব্দুল রব খানের নেতৃত্বে অভিযুক্তদের ধরতে যায় পুলিশ। এরপরই গ্রামবাসীদের একাংশ উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। 


আগেও পুলিশের উপর একাধিকবার হামলা


সম্প্রতি, হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীদের আটক করায়, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলায় আক্রান্ত হয়েছিল জেলা পুলিশ। এসআই ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে কিল, চড়, ঘুসি মারার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও ভাইরাল। ঘটনাটি ঘটেছিল সোদপুরের HB টাউন মোড়ে। নাকা চেকিংয়ের সময় হেলমেট বিহীন দুই বাইক আরোহীকে আটকানোয়, মহিলা আরোহী পুলিশের ওপর চড়াও হন। তাঁর ইন্ধনেই স্থানীয়রা ঘোলা থানার এসআই ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিগ্রহ করেছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত বাইক চালক অভিজিৎ সাহা। ধৃত সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা। 


আরও পড়ুন, পেট্রোল ও ডিজেল সস্তা এই শহরগুলিতে, কী দর আজ কলকাতায় ?


রাজ্যের গণ উৎসবেও আক্রান্ত হয়েছে বারবার পুলিশ


প্রসঙ্গত, রাজ্যের নিত্যদিনের ঘটনা তো বটেই, তবে এর পাশাপাশি নির্বাচনেও পুলিশের উপর হামলা চলার ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল, সংঘর্ষের যবনিকা টানতে গিয়ে বারবার আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েও অনেক সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। তবে শুধুই নির্বাচন ঘিরে নয়, অতীতে নবান্ন অভিযানেও পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণ রয়েছে। সেবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটিছিল পুলিশের। অভিযুক্তদের বাগে আনতে গিয়ে উল্টে আক্রান্ত হতে হয়েছিল রাজ্য পুলিশকেই।