কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: কাটমানি ( Cut Money Controversy) নিয়ে এবার বিস্ফোরক খোদ গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। দলের নেতারা কাটমানি খাবেন না, প্রকাশ্যে মন্তব্য মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের। তাহলে কি শাসকদল কাটমানি খাওয়ার কথা স্বীকার করে নিচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
'কাটমানি না খাওয়া পরামর্শ', কী বললেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ?
প্রশাসন সূত্রে খবর, সামনের বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রাম বাংলার ভোটকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই কোমর বাঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি, কাটমানি, তোলাবাজি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে প্রায় প্রতিদিনই আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস। এই প্রেক্ষাপটে দলের নেতা কর্মীদের কাটমানি না খাওয়া পরামর্শ দিতে শোনা গেল গ্রন্থাগার মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, 'দলের নেতারা কাটমানি খাবে না। এটা কিন্তু আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি। আমরা চাঁদা তুলব, বলে তুলব। আলু, পেঁয়াজ দিয়ে খিচুড়ি-ভাত খাব। কিন্তু কাটমানি কাউকে খেতে আমি দেব না। মন্ত্রীর এ হেন বক্তৃতা সামনে আসার পরই বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, তাহলে কি মন্ত্রী মেনে নিচ্ছেন তাঁর দলের লোকেরা কাটমানি খান? তৃণমূলের কি এমনই অবস্থা যে, প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কাটমানি না খাওয়ার জন্য বার্তা দিতে হচ্ছে?
আরও পড়ুন, 'বিজেপি নেতা'-র বিরুদ্ধে 'গরুপাচারের' অভিযোগ, 'পুলিশের ভূমিকা' নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের
'কেউ কেউ কাটমানি খান, আমি সে বিষয়ে অনুসন্ধান করিনি'
পূর্ব বর্ধমান বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ বলেন,তৃণমূলকে জনসংযোগ র্যালি করতে হচ্ছে। কারণ তৃণমূলের সঙ্গে জনসংযোগ মানুষের আর নেই। ওদের একটার সঙ্গেই সংযোগ, শুধু কাটমানি আর তোলাবাজির সঙ্গে। তৃণমূলের মন্ত্রীকে বলতেশোনা যাচ্ছে। তৃণমূল যে কাটমানির টাকায় চলে সেটা বেরিয়ে এল। যে দলটা জন্ম থেকে কাটমানি খায় ১১ বছর পর কাটমানি ছাড়া আর বাঁচতে পারবে না। গ্রন্থাগারমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, 'কিছু মানুষ আমাকে অভিযোগ করেছিলেন, কেউ কেউ কাটমানি খান। আমি সে বিষয়ে অনুসন্ধান করিনি। যেহেতু আজ পাবলিকের সামনে ছিলাম, তাই মেসেজ দিয়েছি, কারও কোনও কর্মসূচির ক্ষেত্রে আমরা যাতে কাটমানি না খাই।'মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বড়পলাসনে দলের জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক। সেখান থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের কাটমানি-বিরোধী বার্তা দেন তিনি।