সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: দাঁতনে গরুপাচারের ঘটনায় এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রম প্রধান। 'শংকর জানা নামের এক বিজেপি নেতা, তাঁর দলবল নিয়ে ওড়িশা থেকে এই গরুপাচার করে', বলে অভিযোগ তাঁর।


 এরাজ্যে ঢোকার পর এলাকার লোকেরা গাড়ি আটকে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার পর ৩ দিন কেটে গিয়েছে এখনও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। আর কয়েক দিনের মধ্যে গ্রেফতার না করা হলে তিনি এলাকার লোকজনদেরকে নিয়ে আন্দোলনের নামবেন বলেও জানিয়েছেন। ঘটনার কথা তিনি দলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি-কেও জানিয়েছেন বলে জানান। অজিত মাইতিরও বক্তব্য, তিনি এই ঘটনা শুনেছেন। পুলিশ খুঁজছে অভিযুক্তকে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি শংকর জানা তাদের দলের কেউ নয়, পুলিশ ও বিধায়ককে বখরা দিয়েই গরু পার করত। হয়তো বখরা কম পড়ে গেছে, সেই জন্য এই কথা বলছেন। ঘটনাকে খোঁচা দিয়েছে সিপিএম। পুলিশের বক্তব্য, বাংলাতে কিছু হয়নি, যা হয়েছে বর্ডারের ওপাশে ওড়িশা সীমানায়। 


গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে কলকাতার চারটি সংস্থা। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই সংস্থাগুলি ভুয়ো। এগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। গরুপাচারের টাকা এভাবেই লেনদেন হতে পারে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে দেখা যায়, কলকাতার এই চারটি ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে আরও ২৫-৩০টি সংস্থার যোগ রয়েছে। এই চারটি সংস্থার কোটি কোটি টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। খবর সূত্রের।


আরও পড়ুন, সৌগত রায়ের মুখে বোমা তৈরির ফর্মুলা ! কীভাবে তাঁর আমলে বোমা তৈরি হত, দিলেন বর্ণনা


মামলা নিয়ে বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল CBI-কেও। তদন্ত শেষ করতে কত সময় লাগবে? CBI’এর আইনজীবীকে প্রশ্ন করলেন বিচারক। আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে তোলা হয় বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে।শুনানিতে CBI’এর আইনজীবী বলেন, উনি (অনুব্রত মণ্ডল) প্রভাবশালী। এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলে তদন্তকে প্রভাবিত করবেন। আমরা চার্জশিট পেশ করার পরও কয়েকজনের বয়ান নিয়েছি। সেগুলো আদালতে পেশ করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করেন,অনুব্রত মণ্ডলকে CBI প্রভাবশালী বলছে। উনি একটা ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে গেলেই কি প্রভাবশালী তকমা ঘুচবে? নাকি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলে ঘুচবে? অনুব্রত মণ্ডল যাতে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেন, তাই জেলে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছে CBI।