রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: তারকেশ্বরের (Tarakeswar) একটি হোটেলের ঘর (Hotel Room) থেকে উদ্ধার হল যুবক ও যুবতীর মৃতদেহ। জানা গেছে দুই জনেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মন্তেশ্বরে (Monteswar)।
হোটেলের ঘর থেকে যুগলের দেহ উদ্ধার
তারকেশ্বরের হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা যুবক ও যুবতীর মৃতদেহ। মৃত বাপন ঘোষ ও পূজা হাজরা দু'জনেই বিবাহিত। দু'জনেরই বাড়ি মন্তেশ্বরের লোহার গ্রামে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বছর খানেক ধরে দু'জনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extra Marital Affairs) ছিল। তবে মাসখানেক আগে বাপন ঘোষের স্ত্রী পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং তিনি তাঁর স্বামীকে বোঝান যে সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে।
পরিবার সূত্রে খবর, বাপন ও পূজা দু'জনেই জানতেন যে তাঁদের এই সম্পর্ক দুই বাড়ি থেকে মেনে নেবে না। তাই তাঁরা দুজনে একসঙ্গে গ্রাম থেকে বেরিয়ে যায়। বাপনের মায়ের অভিযোগ পূজা হাজরা তাঁর ছেলেকে এক যুগলের ঝুলন্ত দেহের ছবি পাঠিয়েছিল। তারপরেই তাঁর ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরিবারের অনুমান দু'জনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করবে বলে তারকেশ্বরের হোটেলে উঠেছিল।
ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন: Howrah: 'তোলা' চাইতে এসে মহিলাদের হাতে প্রহৃত ব্যক্তি, হাওড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য
পুলিশকে না জানিয়ে যুবককে তড়িঘড়ি সমাধিস্থ করার চেষ্টা
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas News) ক্যানিং থানার অন্তর্গত ১ নম্বর দিঘির পাড় গ্রামের ঘটনা। শনিবার সেখানে জয়ন্ত মণ্ডল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। ভোর রাতে জয়ন্তকে ঘরের মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, এর পরই স্থানীয় কয়েক জন এবং পরিবারের সদস্যরা মিলে জয়ন্তর দেহটি তড়িঘড়ি সমাধিস্থ করতে উদ্যোগী হন।
কিন্তু বিষয়টি পুলিশের কানে পৌঁছয়। তাতেই বিষয়টি আটকানো সম্ভব হয়। অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে যায় ক্যানিং থানার পুলিশ। শনিবার বিকেলে দেহটি উদ্ধার করে তারা। সেখান থেকে দেহটি নিয়ে আসা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। ওই যুব মৃত বলে সেখানে নিশ্চিত করেন চিকিৎসকেরা। তার পর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।