রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: খাতায় কলমে আবাস যোজনার (Housing Scheme) টাকা এলেও তা হাতে এসে পৌঁছয়নি বেশ কিছু উপভোক্তার হাতে। এমনই অভিযোগ জমা পড়েছে নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ-
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপসা গ্রামের বিশেষভাবে সক্ষম যুবক মহসিন মণ্ডল আবাস যোজনায় ঘর পাবে বলে এলাকার দুই তৃণমূল কর্মী তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর নিয়ে যান। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর ওই যুবক যখন তাঁদের কাছে জানতে চান, আবাস যোজনার টাকা এসেছে কিনা, তখন তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, টাকা এলে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু মাস তিনেক পরও মহসিন নামে ওই যুবককে জানান হয় যে, এখনও টাকা আসেনি। যুবকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি কাগজপত্র ঘেঁটে দেখেন যে, তাঁর নামে তিনবারে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা এসেছে। অথচ, তিনি হাতে কিছুই পাননি। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও কোনও টাকা আসেনি। এরপরই বিশেষভাবে সক্ষম ওই যুবক কালনা দু নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন - Katwa : এক ইউনিটের দাম ৫ হাজার টাকা ! রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে
জানা গিয়েছে, শুধু মহসিন মণ্ডলই নন, এরকম আরও বেশ কিছু উপভোক্তার নামে টাকা এলেও তা তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন আরও বেশ কিছু উপভোক্তা। তারপরই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। যদিও এই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি পঞ্চায়েত প্রধান।
কালনা (Kalna) এক নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন যে, তাঁর কাছে নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। যে পঞ্চায়েত সদস্যের নামে অভিযোগ উঠেছে, তিনি জানিয়েছেন যে, এই সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।