রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: হাসপাতালের ক্যান্টিনে করা হচ্ছে টোটোর (Toto) ব্যাটারি চার্জ। একই ছবি দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের শৌচাগারেও। এভাবে বিদ্যুৎ চুরির জেরে আসছে পাহাড় প্রমাণ বিল। এমন ঘটনায় চক্ষু চড়কগাছ পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়া (Katwa) মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ- এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের বিল আসে ১৮.৮৬ লক্ষ টাকা। বিশাল অঙ্কের এই বিদ্যুতের বিল দেখেই তদন্তে নামেন হাসপাতালের সুপার। তদন্তে দেখা যায়, হাসপাতালের ক্যান্টিন থেকে শৌচাগার, যেগুলি ঠিকাদারদের লিজে দেওয়া রয়েছে, সেখানে প্রায়ই টোটো চার্জ দেওয়া হচ্ছে। এদিন হাসপাতালে টোটো চার্জ দেওয়ার সময় এক টোটো চালককে ধরে ফেলে পুলিশ। 


হাসপাতালের ক্যান্টিনে টোটো চার্জ-


এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ টাকার বিনিময়ে টোটোতে চার্জ দেওয়া হত। হাসপাতালের ক্যান্টিনে টোটো চার্জ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন টোটো চালকরা। যদিও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ক্যান্টিন মালিক। এদিন নিতাই মাঝি নামে এক টোটো চালক বলেন, 'অনেক দূরের গ্রাম থেকে এসেছি। এখানে টাকার বিনিময়ে চার্জ দিচ্ছিলাম। মাঝে মধ্যে চার্জ দিই।' ক্যান্টিনের মালিক আবার এই ঘটনায় বলেন, 'ক্যান্টিনে টোটো চার্জ দেওয়া হচ্ছিল। তবে বেশিক্ষণ চার্জ দেওয়া হয়নি। পরে আর এরকম হবে না। এই টোটো ক্যান্টিনের বাজার করতে ব্যবহার হয়। টাকা দিয়ে চার্জ দেওয়া হয়নি।' এই নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক ও হাসপাতাল সুপার। 


আরও পড়ুন - Purba Burdwan News: দীর্ঘদিন বন্ধ কৃষিভবনের কোভিড হাসপাতাল, চিকিৎসার মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষতির আশঙ্কা


কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'একটা টোটো ধরা পড়েছে। একটা টোটো যখন চার্জ দিত তাহলে ধরে নিতে হবে আরও টোটো চার্জ দিত। এর পর থেকে টোটো চালকদেরও যেন গ্রেফতার করা হয়।' কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলম বলেন, 'অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল আসছিল। খোঁজ নিতে গিয়ে জানলাম টোটো চার্জ দেওয়া হচ্ছে। আরও কোনও কারণে বিদ্যুতের বিল বাড়ছে কিনা সেটাও দেখছি।' ইতিমধ্যেই ক্যান্টিন মালিককে শো-কজ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ক্যান্টিন-শৌচাগারে দেওয়া হচ্ছে টোটো চার্জ। যার জেরে পাহাড় প্রমাণ বিদ্যুতের বিল আসছে বলে অভিযোগ। এক টোটোচালককে পাকড়াও করেছে পুলিশ। শো কজ করা হয়েছে ক্যান্টিন মালিককে।