কমলকৃষ্ণ দে ও সোমনাথ মিত্র, পূর্ব বর্ধমান: পুলিশি অভিযানে উদ্ধার সন্দেহজনক বস্তু তেজষ্ক্রিয় পদার্থ (Radioactive material) কি না, তা এখনও নির্ণয় হয়নি। কিন্তু বর্ধমানের (Bardhaman) পারবীরহাটা থেকে উদ্ধার হওয়া দ্রব্যটিকে ঘিরে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট ৫ জন গ্রেফতার হলেন এই ঘটনায়।


পূর্ব বর্ধমানে গ্রেফতার এক: পূর্ব বর্ধমানের পারবীরহাটা থেকে সন্দেহজনক বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম সুধন্য দে (৬৭)। হুগলির হরিপালের বাহিরখণ্ড এলাকার বাসিন্দা। সন্দেহজনক বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় এই নিয়ে মোট ৫ জন গ্রেফতার হলেন। উদ্ধার হওয়া বস্তুটি কি আদৌ কোনও তেজষ্ক্রিয় পদার্থ? পুলিশ সূত্রে খবর, তা নিশ্চিত হতে সন্দেহজনক বস্তুটিকে টেস্টের জন্য ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ মে ৫০ লক্ষ টাকায় এই বস্তুটি হাতবদলের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও বর্ধমান পুলিশের যৌথ অভিযানে তা বানচাল হয়ে যায়।


পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে হুগলির শ্রীরামপুরের প্রভাসনগর থেকে সুধন্য দে-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাঁর দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় দাবি করেছেন, তিন এক সময় অরণাচলপ্রদেশে বিডিও পদে কর্মরত ছিলেন। অনেক দিন হল অবসর নিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, রাজারহাটের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সন্দেহজনক পদার্থটি পেয়েছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তি প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী কেনাবেচায় জড়িত বলেও জেরায় দাবি করেন তিনি। সোমবার সকালে ধৃতের হরিপালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় লোহার গেটে বাইরে থেকে তালা দেওয়া। প্রতিবেশীর গ্রেফতারির খবর শুনে স্থানীয়রা কিছুটা হতবাক। ধৃত সুধন্য দে-র প্রতিবেশী দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, “এই তো শুনছি গ্রেফতার! কারোর সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না। ভিতরে কী ছিল তা তো জানি না। তাই বলতেও পারব না।’’ এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ কি জড়িত আছে? তা কি সামনে আসবে আগামী দিনে? উত্তর দেবে সময়। 


আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: নদী গর্ভে বিলীন চাষের জমি-কংক্রিটের ফেরি ঘাট, মাথায় হাত কাটোয়ার বাসিন্দাদের