রাণা দাস, কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান) : পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) কাটোয়ায় (Katwa) বিজেপিকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। কাঁদতে কাঁদতে বিজেপি-প্রার্থী ও নেতারা মনোননয়ন জমা না দিয়েই ফিরে আসেন বলে দাবি। বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে কাটোয়া-পূর্বস্থলী রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে হুঁশিয়ারি বিজেপির।


কাটোয়া-পূর্বস্থলী রাজ্য সড়কে অবরোধে বসে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। রাস্তায় বসে পড়েন দলের জেলা সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্য। অবরোধের জেরে পেছন দিকে আটকে পড়ে একাধিক লরি।


সীমা ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা যখন আজ নমিনেশন ফাইল করতে গিয়েছিলাম, তখন আমাদের বলা হয়, ২০১৮ সালে যেটা হয়েছে, ঠিক সেটাই হবে। লজ্জা করে না। নমিনেশন করতে এসেছেন। এটা তৃণমূলের হার্মাদবাহিনী বলে। প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। যেতে তো দিলই না। আমরা অবরোধ করছি এই দাবিতে যে, থানা থেকে এসে বিষয়টির সমাধান করে নিয়ে যাক। আমাদের বলুক, নমিনেশন করতে দেবে। তাহলেই আমরা এখান থেকে সরে যাব।"


মনোনয়ন ঘিরে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বারাবনিতেও উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে আসার সময় দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে তৃণমূল ও সিপিএম। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগ ও একগুচ্ছ দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির দাবি, বিরোধীদের কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণে মনোনয়ন পত্র না এসে পৌঁছনোয় তা জমা দিতে পারছেন না প্রার্থীরা। মনোনয়ন কেন্দ্রে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। এছাড়া, ডোমকলে কংগ্রেস কর্মী খুন হওয়ায় বিরোধী শিবিরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।


রাজ্যপালের কাছে বিজেপির দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ার- সহ কোনও অস্থায়ী কর্মীকে ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্য়বহার করা হোক। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যায় সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।