কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ডিএম ডেপুটেশনে এসে পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙল এসএফআই (Purba Bardhaman News)। গত কাল, বৃহস্পতিবার  বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বর থেকে জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল। ছিল বড় বড় ব্যারিকেড-ও। সেই ব্যারিকেডই ভাঙে এসএফআই (SFI Deputation At Bardhaman)। 


কী ঘটেছিল?
গত কাল, বৃহস্পতিবার সাত দফা দাবির ভিত্তিতে জেলাশাসকের দফতরে অভিযান কর্মসূচি ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা এসএফআইয়ের। সেই কর্মসূচির জন্যই বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বর থেকে জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ব্যারিকেডও। এসএফআইয়ের তরফে ঐশী ঘোষ বলেন, 'গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত তৃণমূলের দাদাগিরি আটকানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি, সরকারি স্কুল বন্ধের প্রতিবাদ-সহ  সাত দফা দাবিতে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিতে এলে পুলিশ যুব ছাত্র-ছাত্রীদের রুখতে ব্যারিকেড দিয়েছে। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙেছি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যারিকেডও ভাঙতে পারি।' বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে জেলা শাসকের দফতর পর্যন্ত অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এর আগে, গত অগাস্টে যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে SFI-র প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে। সেবার যাদবপুরের মেন রোডে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল এসএফআই। পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান এসএফআই সমর্থকরা। শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই ব়্যাগিং মুক্ত করার দাবিতেই ওই প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল। ঘটনাস্থলে ছিলেন বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। ঢাকুরিয়া থেকে যাদবপুর এইট বি স্ট্যান্ড পর্যন্ত এসএফআইয়ের ওই মিছিলেও পুলিশ বাধা দিয়েছিল। তখনও এসএফআইয়ের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। ছড়িয়ে পড়ে  উত্তেজনা। কেন তাদের মিছিলে বাধা? প্রশ্ন তুল ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে এগিয়ে যেতে চান ছাত্রছাত্রীরা। এরপর রাস্তায় বসে পড়েন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে র‍্যাগিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির যুবমোর্চা। 
তার আগে, গত মে মাসে  শিক্ষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েও পথে নেমেছিল  বাম যুব সংগঠন। কৃষ্ণনগরে ডিওয়াইএফআইয়ের সেই অভিযান ঘিরে তুলকালাম তৈরি হয়। কেউ উঠে পড়েন ব্যারিকেডের উপরে, কোথাও ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে চলে মিছিল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের বসানো ব্যারিকেড আন্দোলকারীরা ভেঙে ফেলেন বলে অভিযোগ ওঠে। জেলা পরিষদ অফিসের সামনে বাম বিক্ষোভে তুলকালাম বেঁধে যায়। জেলা পরিষদ অফিসের সামনে লোহার ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টাও করেন আন্দোলনকারীরা।


আরও পড়ুন:সপ্তাহান্তে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত, আজ কেমন থাকবে দুই বর্ধমানের আবহাওয়া ?