রানা দাস, কাটোয়া: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) মরসুমি ফল কেনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ সিপিএম শিক্ষক সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনা কাটোয়া থানার চুরপুনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। আহত শিক্ষক প্রসেনজিৎ চন্দ নিজেকে বাঁচাতে স্কুলের বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করেন। স্থানীয়  বাসিন্দারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।  জখম ওই শিক্ষককে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।                   


ফল কেনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার: স্কুলের নেতাজির জন্মবার্ষিকীর প্রস্তুতির সময় ফলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলাকে কেন্দ্র করে  বচসা শুরু হয়। আহত ওই শিক্ষক প্রসেনজিৎ চন্দ কাটোয়া থানায় সহ শিক্ষক তথা সিপিএম নেতা কৌশিক দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক কৌশিক দে। তিনি বলেন, “মরসুমি ফলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে ধাক্কা মারলে আমিও ধাক্কা মেরেছি।’’  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, শিক্ষক কৌশিক দে  দুদিন আগে ছাত্রদের জন্য নিম্নমানের ফল কিনে আনে। কিন্তু তিনি আজ গুণগতমানের আপেল কিনে আনলে , তার ওপর হামলা চালায়। দুই শিক্ষকের মধ্যে বচসা ক্রমশ হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।  যদিও কৌশিক দে-র পাল্টা অভিযোগ, “পড়ুয়াদের বিলির  জন্য যে আপেল কেনা হয়েছে  তার হিসেব চাইতে গেলে আমাকে ধাক্কা মারে। কাটোয়া থানা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।’’                                               


এদিকে গত সপ্তাহে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার দক্ষিণ কলসুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির নতুন অভিযোগ ওঠে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ডিম, কমলালেবু নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে ছবি তোলার পর, তা নিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়া, পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশি দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে টাকা আদায়েরও অভিযোগও উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা গতকাল প্রধান শিক্ষকরা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। ভুল স্বীকার করে প্রধান শিক্ষকের দাবি, যে টাকা সরকার দেয়, সেই টাকায় একদিনে ডিম, ফল দেওয়া যায় না।পাশাপাশি, মোবাইলে ছবি তুলে না পাঠালে মেলে না সরকারি টাকা। সেই জন্যই ছবি তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক। 


আরও পড়ুন: Tapas Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলকে তলব ইডির