কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: চলন্ত বাসে ধোঁয়া (smoke)। অগ্নিকাণ্ডের (fire) ভয়ে যাত্রীরা (passenger) নেমে গেলেন বাস (bus) থেকে। বর্ধমানের (bardhaman) উল্লাস বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে ঘটনাটি ঘটে। তবে বড় কোনও বিপর্যয় (disaster) হয়নি। খবর পেয়ে তড়িঘড়িই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ।


কী ঘটেছিল?
যে বাস থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল, সেটি দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থা বা SBSTC-র। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল নাগাদ নবাবহাট থেকে গাংপুর হাটতলা যাওয়ার সময় উল্লাস বাসস্ট্যান্ডের কাছে হঠাতই বাসটি থেকে ধোঁয়া বেড়োতে থাকে। তার মাত্রা এতটাই ছিল যে আশপাশের বেশ কিছুটা অংশ ছেয়ে ফেলে। যাত্রীরা ধরে নেন, বাসে আগুন লেগেছে। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়, হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন যাত্রীরা। অবশেষে বাস থেকে নেমে যান প্রত্যেকেই। চালকও ঝুঁকি নিতে চাননি। ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দ্রুত বাস দাঁড় করিয়ে দেন। তবে পরে জানানো হয়েছে, আগুন লাগেনি। কোনও কারণে যান্ত্রিক গোলযোগ থেকেই ওই ধোঁয়ার উৎপত্তি। আশার কথা একটাই, গোটা পর্বে কোনও যাত্রী আহত বা অসুস্থ হননি।

হালেই অগ্নিকাণ্ড বাসে...
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তারাতলায় একটি স্কুলবাসে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। সে বার একেবারে দিনেদুপুরে স্কুলবাসটিতে আগুন লেগে যায় বলে খবর। তবে বরাতজোরে সে বারও বিপত্তি হয়নি। জানা গিয়েছিল, ঘটনার সময় বাসে কোনও পড়ুয়া ছিল না। ফলে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি সামলাতে দমকলের ২টি ইঞ্জিনকে ছুটতে হয়। তারাই গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে স্কুল বাসে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয় তার পর পরই। যদিও বাসে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাসিকে। দিনদুয়েক আগেই, সেখানে এক চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনায় স্রেফ ঝলসে মৃত্যু হয় ১১ জনের। অগ্নিদগ্ধ আরও কয়েকজন। সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এদিন অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। আগুন নয়, যান্ত্রিক গোলযোগ থেকেই ধোঁয়া বেরোচ্ছিল, খবর SBSTC সূত্রে। তবে প্রশ্ন থাকছেই। যাত্রী পরিবহণের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা এই যানগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কতটা সচেতন? 


আরও পড়ুন:'কোহলির প্রতিভা রাতারাতি ফুরিয়ে যেতে পারে না,' বিশ্বকাপে ভারতের গেমচেঞ্জার বেছে নিলেন সৌরভ