কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (electrocuted) হয়ে মারা গেলেন (death) বিদ্যুৎ দফতরের (electricity department) এক ঠিকাকর্মীর (casual staff)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় (injured) বর্ধমান (burdwan) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ জন ঠিকাকর্মী। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার খানোমোড় এলাকার ঘটনা। মর্মান্তিক খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।


কী জানা গেল?


স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে মৃতের নাম সনৎ বাগদী। যিনি আহত হয়েছেন, তাঁর নাম সুমন বাগদী। খানোমোড়ের কাছে মাঠের মধ্যে ১১ হাজার ফিডারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন দুজন। হঠাৎই অঘটন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কাজ করার সময়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিদ্যুৎবাহী খুঁটির তারে ঝুলে পড়েন তাঁরা। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই দুজনের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাঁদের সহযোগিতায় পুলিশ সনৎ ও সুমনকে উদ্ধার করে পুরষা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা সনৎ বাগদীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


কেন অঘটন?


বিদ্যুৎ দফতরের বর্ধমান নর্থ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ইমদাদুল মণ্ডল জানিয়েছেন,ওঁরা যেখানে কাজ করছিলেন সেখানে একাধিক বাল্ক লাইন আছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে কেউ বা কারা জেনারেটর চালানোর জন্য হয়তো লাইন 'ব্যাক' করে ওই ঘটনা ঘটে। তবে কর্মীরা কাজের সময় নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করেছিলেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার, মনে করছেন দফতরের অনেকে। পুরো ছবিটা তদন্তের আগে স্পষ্ট হওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরুও করেছে গলসী থানার পুলিশ।


আগেও দুর্ঘটনা


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য় নতুন নয়। হরিদেবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর জুলাইয়ের গোড়ায় বাঁকুড়া শহরে ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান এক মহিলা-সহ ২ জন। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যুতের ছেঁড়া তার বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিল। বিদ্যুৎ দফতরকে জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।


এবার প্রাণ গেল দফতরেরই ঠিকাকর্মীর।


আরও পড়ুন:আরও কড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা, আলাদা গেট ছাড়া আর কী কী ব্যবস্থা