কলকাতা : বর্ধমান শহরে ৪ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু। তাঁদের মধ্যে মৃত দু’জনের পরিবারের দাবি, মদ খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। অন্যদিকে, মৃত অপর দু’জনের পরিবার দাবি করছে, মৃতরা মদই খাননি। আর এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। পুলিশ (Police) বলছে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর নেপথ্যে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। কিন্তু বর্ধমান শহরের (Burdwan Town) এদিনের ঘটনা উস্কে দিয়েছে, অতীতে এ রাজ্যে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনাগুলির স্মৃতি।


বিষমদের বলি


১৪ ডিসেম্বর, ২০১১ - দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়। কয়েক জন দৃষ্টিশক্তি হারান ও পঙ্গু হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। 


২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর- ঘটনাস্থল ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। বেলেচণ্ডীতে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের৷ 


২০১৫-র ১৪ সেপ্টেম্বর- দক্ষিণ ২৪ পরগনারই ঢোলাহাটের রামগোপালপুর গ্রামে বিষমদ খেয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। 


তীব্র রাজনৈতিক চাপনউতোর


বর্ধমানকাণ্ড ঘিরে সরকারকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'মদের ভাঁটি গোটা রাজ্য জুড়ে তৈরি হয়েছে। ৫০০ টাকা দিচ্ছে। সেটা মহিলাদের হাতে থাকছে না। মুখ্যমন্ত্রী লাশের দাম বেঁধে দিয়েছেন'। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'এখানে তো হবেই। মুখ্যমন্ত্রী পাড়ায় পাড়ায় মদের দোকান খুলে দিয়েছে।' সিপিএমের (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'মদের বিষ আর মদের ট্যাক্স, এই দুটোই তো চলছে রাজ্যে, প্রশাসন বলে কিছু নেই। যত বিষের কারবারি, মদের কারবারি এখানে চলছে।'


পাল্টা তৃণমূলের (TMC) বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই! তৃণমূল সাংসদ দায় চাপিয়েছেন বেআইনি মদ বিক্রির ওপর। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। আর স্থানীয়দের আলোচনা-জল্পনায় মৃত্যুর ঠিক কী কারণ।


আরও পড়ুন- মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু? বর্ধমানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৪ জনের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য