বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) মহিষাদলের (Mahishadal) তালুক গোপালপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হল তৃণমূল। মুখ থুবড়ে পড়ল বিরোধী জোট (opposition collision)। ৬২ আসনের মধ্যে ৬১টি দখল করল ঘাসফুল শিবির (TMC)। 


ফের ফেল নন্দকুমার মডেল


মহিষাদলে ফের ফেল নন্দকুমার মডেল। বিরোধী শক্তিকে হারিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেল তৃণমূল। গত রবিবার, মহিষাদলের জগৎপুর শীতলা সমবায় সমিতির ভোটে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী হয়েছিলেন অঘোষিত জোট প্রার্থীরা। বুধবার সেই মহিষাদলেরই আরেক সমবায় সমিতির ভোটে উলট পুরান। 


মহিষাদল ব্লকের তালুক গোপালপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে মোট আসন ৬২। তার মধ্যে ১২ টিতে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয় তৃণমূল। বুধবার, বাকি ৫০টি আসনের ৪৯টিই দখল করেন শাসকদল সমর্থিত প্রার্থীরা। বিরোধী জোটের ঝুলিতে যায় মাত্র ১টি আসন।


বাম-বিজেপি সমর্থকদের জোট


সম্প্রতি, নন্দকুমারে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়, বাম ও বিজেপি সমর্থিত ঐক্যমঞ্চ। ৬৩ আসনের একটিতেও জিততে পারেনি তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। তারপর, পূর্ব মেদিনীপুরে একের পর এক সমবায় সমিতির ভোটে তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করতে জোট বাঁধতে দেখা যায় সিপিএম-বিজেপিকে। তবে, মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ কৃষি সমবায় সমিতি ও তমলুকের খারুই গাঠরা সমবায় সমিতির ভোটে সেই কৌশল কাজে আসেনি। এবার, মহিষাদলের তালুক গোপালপুর কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটেও অঘোষিত বিরোধী জোটকে হারিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেল তৃণমূল।


আরও পড়ুন- ‘সংসদে বেশ কিছু বিপজ্জনক বিল আনছে সরকার, যা রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে' : মমতা


এর আগে তমলুকে খাটেনি ‘নন্দকুমার মডেল'। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কাজে আসেনি নতুন কৌশল। সমবায় সমিতির নির্বাচনে ধাক্কা খায় বাম-বিজেপি সমর্থিত ঐক্যমঞ্চ। তমলুকের খারুইয়ের চাঠরা-গাঠরা কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে বিপুল জয় পায় তৃণমূল। আবার এ দিনই, মহিষাদলের জগৎপুর শীতলা সমবায় সমিতির ভোটে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। সেখানে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল বিরোধী শক্তি। তবে ভোটের দিন, সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তমলুক। তৃণমূল বনাম বাম-বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন দুই পক্ষের কর্মীরা। 


তাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে তেতে ওঠে তমলুক। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, রবিবার তাদের ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয় তৃণমূল।  ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বুথ স্লিপ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ নিয়ে প্রথমে তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। ঝগড়া, চিত্‍কার, চেঁচামেচি শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষের আকার নেয়।