সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, এগরা: এগরাকাণ্ডের ১১ দিন পর খাদিকুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখানে গিয়েই বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাইলেন তিনি (Egra News)। প্রকাশ্যে বললেন, "মাথানত করে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছি।" শনিবার সকালে খাদিকুলের সভায় সর্বসমক্ষেই ক্ষমাপ্রার্থনা করতে দেখা গেল তাঁকে। 


সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন মমতা


শনিবার সকালে এগরায় পৌঁছন মমতা। সেখানে নিহতদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য়ের ঘোষণা করেন তিনি। পরিবারের একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে বলে জানান। মমতা জানান, ওড়িশা সীমানা দিয়ে বাজি পাচার রুখতে কাজ করবেন তাঁরা। বলেন, "বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছি। বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে সেখানেই তৈরি হবে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির ক্লাস্টার।"


এ দিন মমতা বলেন, "টাকার লোভে অনেকে বেআইনি বাজি কারখানা করে অনেকে। নিজেও মারা গেল, অন্যদেরও নিয়ে গেল। এটা নিয়ে অনেকে রাজনীতির জলঘোলা করেছেন। আমি কোনও রাজনীতি করতে আসিনি এখানে। মানবিক সাহায্য়ের হাত বাড়াতে এসেছি।" বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : এগরায় গ্রিন ক্র্যাকার ক্লাস্টার তৈরির ঘোষণা মমতার, নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি


এর পরই এগরাবাসীর কাছে ক্ষমা চান মমতা। বলেন, "আমি আপনাদের সকলের কাছে মাথানত করে এই ঘটনার জন্য় ক্ষমা চাইছি। আপনাদের যদি কোনও ভাবে কোনও সাহায্য করতে পারি বলবেন।"


এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষমাপ্রার্থনা নিয়ে মুখ খোলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, "ম্যাডাম আমাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এসেছেন। আমাদের আর কিছু বলার নেই। তাঁর পক্ষেই বা আর কী করা সম্ভব! উনি বলেছেন, আগামী দিনে যাতে কারও সঙ্গে এমন না ঘটে দেখবেন।" আর এক নিহতের বাড়ির সদস্য বলেন, "উনি এসেছেন, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অর্থসাহায্য় করেছেন, চাকরি দিয়েছে। আমাদের মনোবল বাড়ল।"


এগরায় নিহতদের পরিবারকে অর্থসাহায্য, চাকরি মমতার


এগরার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে এদিন সরব হন খোদ মমতাও। এমন কিছু ঘটলে অবিলম্বে পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি, লাইসেন্স রয়েছে বলেই জানেন সকলে। বেআইনি ভাবে কারখানা চলছে, তা  কী করে বোঝা সম্ভব।