হলদিয়া : অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের (Abhishek Banerjee) আশ্বাসের পর হলদিয়া (Haldia) শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতন সমস্যা মেটাতে তৎপরতা বাড়াল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। INTTUC সূত্রে খবর, বুধবার থেকে বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে গিয়ে, সেখানকার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবে নব গঠিত কমিটি। বেতন বৈঠকে সামিল করা হবে সংশ্লিষ্ট কারখানার ২০ শতাংশ কর্মীকে।
কী আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক ?
গত ২৮ মে হলদিয়ায় দলের শ্রমিক সংগঠনের মঞ্চ থেকে শিল্পাঞ্চলের কর্মীদের বেতন ও কর্মস্থলে সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত সমস্যা এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আমাকে ১০০ দিন সময় দিন। চার্টার্ড অফ ডিমান্ড সমস্যা মিটিয়ে দেব। আমি দলের কাছে বলছি, প্রত্যেক সিওডি মিটিংয়ে যাতে শ্রমিকদের মধ্যে থেকে ২০ শতাংশ করে থাকেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই বার্তার এক সপ্তাহের মধ্যে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের COD বা বেতন চুক্তি নিয়ে তৎপরতা বাড়াল শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন। রবিবার INTTUC-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়ায় সতীশচন্দ্র সামন্ত ট্রেড সেন্টারে সংগঠনের জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। INTTUC সূত্রে খবর, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় শ্রমিকদের বেতন চুক্তির বিষয়টি দেখার জন্য কারখানা পিছু প্রায় ১২ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার থেকে কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বেতন চুক্তির খসড়া প্রস্তাব তৈরি করবে এই কমিটি। বেতন সংক্রান্ত আলোচনা প্রক্রিয়ায় সামিল করা হবে সংশ্লিষ্ট কারখানার ২০ শতাংশ কর্মীকে।
লটারির মাধ্যমে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নির্বাচন করা হবে। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এটা করছি। শ্রমিকদের সিওডি সমক্রান্ত বিষয়টি প্রতিটি সংস্থায় দেখা হবে। ৮ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কাজ।
৯ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার মেয়াদ। তার আগে শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের জন্য তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তৎপরতকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবিরের শ্রমিক সংগঠন। ভারতীয় মজদুর সংঘের রাজ্য সহ সভাপতি প্রদীপ বিজলি বলেন, সামনে হলদিয়া পুরসভা ভোট। শ্রমিকদের মন জিততে চিড়ে ভেজানোর জন্য কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ হলদিয়ার শ্রমিকরা তৃণমূলের সঙ্গে নেই।