ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: পেশায় পুলিশ কর্মী। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া যাঁর কাজ। দুষ্কৃতীদের ধরা যাঁর কাজ। তিনি নিজেই আক্রান্ত দুষ্কৃতীদের হাতে। এমন অভিযোগই উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি বিধানসভা এলাকায়।
পুলিশকর্মীকে মারধর:
খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের কসবা গ্রাম। সেখানেই বাড়ি পেশায় পুলিশকর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি এখন কোলাঘাট থানায় কর্মরত। তাঁকেই বাড়ি ঢুকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই পুলিশকর্মীকে ওই এলাকার বেশকিছু দুষ্কৃতী হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময় তাঁর বাড়ি এসে টাকা চাওয়ার ঘটনা ঘটছিল বলে অভিযোগ। অনেকসময় তাঁর বাড়িতে এসে তাঁর স্ত্রীর কাছে পুজো চাঁদা নিয়ে জুলুম করা, মদ খাওয়ার টাকাও চাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটির পরে বাড়িতে ফেরেন রামকৃষ্ণ মণ্ডল। তারপরে বাড়িরই কাছে একটি জায়গায় গিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী। সেই সময় এলাকার কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। পাল্টা প্রতিবাদ করেন রামকৃষ্ণ। সেই সময়েই বচসা বেঁধে যায়। দীর্ঘক্ষণ কথা কাটাকাটির পরে বাড়ির দিকে ফেরত আসেন তাঁরা। তখনই ওই দুষ্কৃতীরা তাঁদের পিছু ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। সেই সময়ে রুখে দাঁড়ান রামকৃষ্ণ মণ্ডল। কেন বাড়ি পর্যন্ত তাড়া করা হয়েছে, কেন এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিবাদ করেন তিনি। তা নিয়ে বচসার মাঝেই দুষ্কৃতীরা রামকৃষ্ণর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাঁশ ও লাঠি নিয়ে রামকৃষ্ণর মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সেই আঘাতেই রামকৃষ্ণ মণ্ডল জ্ঞান হারান বলে অভিযোগ। আতঙ্কে তাঁর স্ত্রী চিৎকার করতে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি বলে দাবি।
থানায় অভিযোগ:
পরিবারের লোকজনই তাঁকে নিয়ে যায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশকর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডলের দাবি এলাকার কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে বারবার টাকা চেয়ে হুমকি দিতেন। সেই হুমকি তিনি শোনেননি তাই তিনি এই আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে তাঁর দাবি। এই ঘটনার পরে তালপাটি কোস্টাল থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের পারিবারিক বিবাদের কারণেই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।