বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের লাল-গেরুয়ার জোটের ছবি। এবারও সমবায় নির্বাচন, এবারও সেই পূর্ব মেদিনীপুর। নন্দকুমারের পরে এবার মহিষাদল। তৃণমূলকে হারাতে একসঙ্গে দুই দল। এই জোটকে অশুভ আঁতাত বলে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। নন্দকুমারে এমনই জোট হয়েছিল। সেখানে কার্যত ধুয়েমুছে গিয়েছিল তৃণমূল। সব আসনই পেয়েছিল জোট। এখানেও কি সেই ফলাফলই হবে? নাকি হেরে যাবে জোট? উত্তর মিলবে ২০ নভেম্বর।
সমবায় নির্বাচনে এবার নন্দকুমার মডেল। ফের সমবায় সমিতির নির্বাচনে বোঝাপড়া করে প্রার্থী দিল বাম ও বিজেপি। একসঙ্গে প্রচারেও নেমে পড়লেন বাম ও বিজেপির নেতাকর্মীরা।
একসঙ্গে দুই দল:
একদিকে মহিষাদলের ইটামগরা ২ অঞ্চলের বিজেপি আহ্বায়ক রামকৃষ্ণ দাস। তার পাশে মহিষাদলের সিপিআই ইটামগরা ২ আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক সুধাংশু বারিক। রামকৃষ্ণ দাস বলছেন, 'আমাদের লড়াই মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। সেক্ষেত্রে আমরা মানুষের জোট করেছি। উনিও দীর্ঘদিনের ২৪ বছরের বামপন্থী প্রধান, আমিও দীর্ঘদিন প্রধান ছিলাম এই অঞ্চলের।'
পাল্টা প্রচারে তৃণমূল:
বাম-বিজেপি জোটের পাল্টা প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূলও। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, একটা অশুভ আঁতাত তৈরি হয়েছে। সিপিএম এবং বিজেপি একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
কোন ভোট লড়াই:
২০ নভেম্বর মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় সমিতির নির্বাচন। সেখানেই টক্কর হবে শাসকদল তৃণমূল এবং বাম-বিজেপি জোটের।
এখন চলছে প্রচার:
মহিষাদল কেশবপুর জালপাই সমবায় সমিতির নির্বাচনে আর পাঁচটা নির্বাচনের মতোই জোরকদমে চলছে প্রচার। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই জোট প্রার্থীদের পোস্টার দিয়েও চলছে জোর প্রচার। এই সমবায় ভোট নিয়েই এখন সেখানে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।
কত আসনে লড়াই:
মহিষাদলের এই সমবায়ে মোট ৭৬টি আসন রয়েছে। সেখানে বাম ও বিজেপি জোট করে 'সংযুক্ত কৃষক মোর্চা'র নামে ৭৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে বিজেপির ৬২ জন এবং বামেদের ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। ফলে ভোটের আগেই একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
গত ৬ নভেম্বর, নন্দকুমারের বহরমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জোট করে লড়াই করে তৃণমূলকে হোয়াইটওয়াশ করে দেয় বাম-বিজেপি। সেই সমবায় নির্বাচনে ৬৩টি আসনের মধ্যে একটিও জিততে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। সেই মডেলেই এবার ভোটের লড়াই হতে চলেছে মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় সমিতিতে। এবারও কী নন্দকুমার মডেলে নির্ভর করে ফের সাফল্য পাবে জোট? নাকি সেই হিসেব উল্টে জয়ী হবে তৃণমূল? উত্তর মিলতে অপেক্ষা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।