ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: কদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকেই ভিড় জমছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের একটি বাড়িতে। রোজই কেউ না কেউ বাড়িতে এসে টাকা চাইছেন। বাড়িটি ভগবানপুরের একসময়ের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল (TMC) নেতা নান্টু প্রধানের। ২০১৮ সালে মারা যান নান্টু। এখন তাঁর বাবার কাছেই টাকা ফেরত চাইতে আসছেন প্রতারিতরা। 


কী অভিযোগ:
চাকরি প্রার্থীদের দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন নান্টু প্রধান (Nantu Pradhan)। এর মধ্যেই ২০১৮ সালে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় নান্টু প্রধানের। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নান্টু প্রধানের বিরুদ্ধে জনরোষ ছিল এলাকায়। একাধিক প্রতারণার অভিযোগ ছিল, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল নান্টু প্রধানের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, জোর করে চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি তৈরির করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পড়শি সকলেরই দাবি নান্টু প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পার্থর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই এলাকায় পরিচিতি ছিল তাঁর। অভিযোগ, সেই পরিচয় কাজে লাগিয়েই দেদার টাকা তুলেছিলেন নান্টু। এবার চাপে পড়ে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন নান্টুর বাবা চাঁদহরি প্রধান।


পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারের খবর সামনে আসতেই দলে দলে প্রতারিত চাকরি প্রার্থীরা আসছেন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুরের মহম্মদপুরে নান্টুর বাড়িতে। টাকা দিয়েও চাকরি মেলেনি তাঁদের। সেই কারণে চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত নিতেই নান্টু প্রধানের বাড়িতে আসছেন তাঁরা। পার্থ-ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন নান্টু। তিনি বলেন, 'আমার কাছে টাকা নেই। কিছু কিছু ফেরত দিয়েছি। যতটা পারব ধাপে ধাপে ফেরত দেব।' সম্প্রতি নান্টুর ভাইকে নদীর চর বোজানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তারপর থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে নান্টু প্রধানের টাকা তোলা নিয়ে। সেই টাকা চাইতে ভিড়ও জমাচ্ছেন একাধিক প্রতারিত।   


আরও পড়ুন: "দেশজুড়ে শুদ্ধিকরণের কাজ চলছে", সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের