কোলাঘাট : কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের ওপর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য । নিহত ব্যবসায়ীর বাবার দাবি, এবারই প্রথম নয়, বছর সাত-আটেক আগেও তাঁদের দোকানে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা । অভিযোগ, তারপর পুলিশকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। নিহত ব্যবসায়ীর বাবার আরও দাবি, নগদ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না লুঠ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছেলের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহত ব্যবসায়ীর বাবা । তাঁর অনুমান, লুঠের সময় ছেলে হয়তো কাউকে চিনে ফেলছিল, সেই কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে।


নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাবা সুকুমার পড়িয়া বলেন, "এই দোকানের রমরমা দেখে হয়তো অন্য লোকের আক্রোশ হতে পারে। একবার দোকান ভেঙে, সিসি টিভি ক্যামেরা ভেঙে ডাকাতি করে নিল। আর একবার দোকানে ব্যাগ রেখে দিয়ে জল আনতে যাওয়া হয়েছিল, ব্যাগ-সহ উধাও হয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তৃতীয়বারে একেবারে শেষ করে দিল। পা-হাতও যদি খোঁড়া করতো, আমাদের কোনও দুঃখ থাকত না। ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে যাক। কিন্তু, তাঁকে চিনে ফেলার জন্যই মেরে দিল ছেলেকে। বাইরের লোক নয়, স্থানীয় দুষ্কৃতী-ই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। দোকান থেকে যখন বেরিয়ে আসছে, সেই সময় ধাওয়া করেছে। ১৬-১৮ ঘণ্টা হয়ে গেল, পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে ধরতেই পারল না। তাই, সিবিআই তদন্ত হলেই ভাল হয়। পুলিশের ওপর ভরসা থাকবে কী করে। অন্তত একজন লোককেও যদি ধরতে পারত। কিন্তু, পুলিশের ওপর আর ভরসা থাকছে না।" 


ফের একবার জাতীয় সড়কে মৃত্যুদূতের হানা ! স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে কোলাঘাটে গয়নার দোকান বন্ধ করে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাইকে ফিরছিলেন স্বর্ণব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া। তখনই তাঁকে আটকে গয়না, টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ী বাধা দিলে তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে ৩টি বাইকে করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।কিন্তু কেন এভাবে খুন হতে হল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ? দুষ্কৃতীরা লুঠের জন্য় এসে থাকলে ব্য়বসায়ীকে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হল কেন ? তবে কি দুষ্কৃতীদের মধ্য়ে ব্য়বসায়ীর চেনা কেউ ছিল ? চিনে ফেলার জন্য়ই তাঁকে খুন করা হয় ? নাকি দুষ্কৃতীরা খুনের উদ্দেশ্য়েই সেখানে এসেছিল ? এই ঘটনার নেপথ্য়ে কি ব্যবসায়িক শত্রুতা রয়েছে ? তবে কারণ যাই হোক, এই ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে কোলাঘাটবাসী!