বিটন চক্রবর্তী, কোলাঘাট : একরত্তি বললে অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু, তার সাফল্য ছোটখাট নয়। একেবারে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে' নাম তুলে নজর কাড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত বলিশ্বর গ্রামের মাত্র ১ বছর ১০ মাসের আরাধ্যা পণ্ডিত। এই বয়সেই সে একাধিক গান, নাচ, আবৃত্তি, পশু-পাখির ডাক, সাধারণ জ্ঞান বা জেনারেল নলেজ-সহ একাধিক বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছে। পরিবারের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে সহজেই এসব কিছু রপ্ত করতে শিখেছে ছোট্ট আরাধ্যা।


বাবা সোমনাথ পণ্ডিত পেশায় শিক্ষকক। মা অনিমা পণ্ডিত পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মী। আরাধ্যার মা জানান, ছোট্ট আরাধ্যা মাত্র এক বছর বয়স থেকেই ভালভাবে কথা বলতে পেরেছে। তারপর থেকেই তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন কবিতা, গান, শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম-সহ একাধিক বিষয়ে তাকে যা যা শোনাত তা সহজেই রপ্ত করতে পারতো এবং তা আপন মনে বলতে থাকতো।


তার এই প্রতিভা পরিবারের নজরে আসে। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে আরাধ্যার বাবা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন। কিছুদিনের মধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরাধ্যার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। অবশেষে ২৯ জানুয়ারি হাতে পান ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের শংসাপত্র, সুদৃশ্য পেন ও মেডেল।


মাত্র এক বছর দশ মাসের এই ছোট্ট আরাধ্যার প্রতিভার ফল স্বরূপ তার ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পুরস্কারপ্রাপ্তি। রীতিমতো খুশির হাওয়া বলিশ্বর গ্রামের মানুষজন-সহ তার পরিবারে। আর এই 'বিস্ময়' খুদের প্রতিভার খবর পেয়েই তার বাড়িতে সারাক্ষণই ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। শুনতে চাইছেন এই 'বিস্ময়' কন্যার মুখের কবিতা, গান।


একইভাবে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা ( North 24 Pargana ) জেলার বসিরহাটের ( Basirhat ) দিশা সরকার। বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্য কুড়িয়া গ্রামে শিক্ষকতা করেন জয়দেব সরকার। তাঁর স্ত্রী পায়েল সরকার। গত বছর এই সময় ১ বছর ১০ মাস বয়স ছিল তাঁদের মেয়ে দিশার। এই বয়সে নিজের নাম, পরিবারের নাম-ধাম তো বটেই, সে গড়গড় করে বলে দিত এ দেশের ১৭ টি রাজ্যের রাজধানীর নাম ! তাও ভেবে - ভেবে নয়, এক নিশ্বাসে। মাত্র ৫০ সেকেন্ডে। তার এই ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়  ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। দিশার এই অবাক কীর্তির জন্য নাম নথিভুক্ত করা হয়। ছোট্ট মেয়ের এই ক্ষমতায় গর্বিত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম।